কোভিড কালে মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি অভিযোগ তুলে PM Cares- নিয়ে ৫ দফা প্রশ্ন সুখেন্দু শেখরের



পিএম কেয়ারস তহবিল প্রথম থেকেই এনিয়ে চলছে নানান বিতর্ক। উঠেছে অনেক প্রশ্ন। এবার ফের একবার পিএম কেয়ারস তহবিল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল কেন্দ্রের তথ্য। এবার আসরে তৃণমূল। তৃণমূলের সংসদীয় দলের জাতীয় মুখপাত্র ও মুখ্যসচেতক সুখেন্দু শেখর রায় পি এম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে পাঁচ দফা প্রশ্ন তুলেছেন। ৩ দফা দাবিও জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।


সুখেন্দু শেখর রায় তাঁর বিবৃতিতে পিএম কেয়ারস ফান্ড নিয়ে যা তুলে ধরেছেন- 

  • সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশের মানুষকে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের মেমোরেন্ডাম অফ ট্রাস্টের দলিলের নির্দিষ্ট অংশ সামনে আনুক, বলুক এটা বক কচ্ছপ না বকচ্ছপ?

  • পিএম কেয়ার্স ফান্ড আরটিআই-এর আওতায় আসবে না কেন? মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, সরকারি কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসেব দেবেন, আর প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন ট্রাস্ট দেবে না?

  • পিএম কেয়ার্স ফান্ডে কারা দান করেছে? দানের বিনিময়ে তারা কী কী সরকারি সুবিধে পেয়েছেন?

  • এনআরআই ও বিদেশি সংস্থার দান সংগ্রহ করতে বিদেশের সমস্ত ভারতীয় দূতাবাসকে কাজে লাগানো হয়েছে কি ? দুবাই ও চিনের সংস্থাও কি টাকা দান করেছে ?

  • ২৭ মার্চ তৈরি হওয়া ট্রাস্টের দলিল বলছে, এতে কোনও সরকার বা সরকারি সংস্থার বিনিয়োগ নেই। আবার ২৮ মার্চ কেন্দ্রের কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক মেমো জারি করে বলছে, আইন অনুযায়ী এই ফান্ডে সরকারি সংস্থা কল্যাণমূলক কাজে দান নিতে পারে। কোনটা ঠিক?

সুখেন্দুশেখর রায়ের দাবি, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে অ্যাটাচ করা হোক। অন্যথায় ট্রাস্ট ভেঙে দেওয়া হোক। টাকা বাজেয়াপ্ত করা হোক। কোভিডকালে মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।


এদিকে, গতকাল আরটিআই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত সরকার প্রতিষ্ঠিত পিএম কেয়ারস তহবিল নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। তহবিলে ব্যক্তিগত অর্থ নেওয়া হয়েছে ফলে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় নেই।কোনও সরকারি সংস্থার থেকে টাকা আসেনি। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা, কর্পোরেট, বিদেশি নাগরিক,বিদেশি সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছ থেকে অর্থ এসেছে। 


সংস্থার পরিচালনে ট্রাস্টি থাকায় তথ্য জানার অধিকার আইনের ২(এইচ) ধারা অনুযায়ী, পিএম কেয়ারস আরটিআই ভূক্ত নয়। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠান বলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী চেয়ারপার্সন ও একাধিক মন্ত্রী ট্রাস্টি রেজিস্ট্রার করা হয়েছে দিল্লির রেভিনিউ বিভাগে।স্বাভাবিকভাবে পিএম কেয়ারস নিয়ে অস্পষ্টতা বাড়ছে।পিএম কেয়ারস ওয়েবসাইট সম্প্রতি জানায়, পিএম কেয়ারস ফান্ড সরকারি সংস্থা নয়।