স্বপ্নপূরণের লড়াই, বিরল দৃষ্টান্ত দেশেই, ৬৪ বছর বয়সে ডাক্তারি পড়তে তৈরি অবসারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী

 


স্বপ্নপূরণের লড়াই, বিরল দৃষ্টান্ত দেশেই, ৬৪ বছর বয়সে ডাক্তারি পড়তে তৈরি অবসারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী 



বয়স যে একটি মাত্র সংখ্যা তা প্রমান করে দিলেন ওড়িশ্যার ৬৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী জয় কিশোর প্রধান। প্রধান চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে National Eligibility cum Entrance Test (NEET) পরীক্ষায় ভালো র‍্যাংক নিয়ে পাশ করেছেন। ব্যাঙ্কের চাকুরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। 


৬৪ বছর বয়সী অবসারপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী জানান যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চান। যখন তাঁর বয়স ৭০-এর কাছাকাছি হবে তখন তাঁর এমবিবিএস ডিগ্রী সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, "আমার কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য এগিয়ে নেই। আমি বেঁচে থাকার আগে পর্যন্ত মানুষের সেবা করতে চাই।"


তিনি বলেন, ‘‌আমি প্রথম পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে পারিনি। তখন বয়স অল্প ছিল। তারপর বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর চাকরিতে যোগ দিই। কিন্তু মনে ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তাই অবসর নেওয়ার পর ২০১৬ সাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছি।’‌


বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পর্যন্ত হয়েছেন তিনি।"এটি দেশের মেডিকেল শিক্ষার ইতিহাসের অন্যতম বিরল ঘটনা। এত বয়সে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তি হয়ে প্রধান উদাহরণ তৈরি করেছেন," ভিএমএসএআরের পরিচালক ললিত মেহরা পিটিকে বলেছেন। 


প্রধানের নীট পরীক্ষায় বসার এবং এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রেরণা তাঁর এক যমজ কন্যার মৃত্যু থেকে এসেছিল। যদিও নিট পরীক্ষায় বসার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ বছর। কিন্তু ২০১৮ সালে আদালতে দায়ের এক মামলার রিট পিটিশনের ভিত্তিতে নিটে বসার সুযোগ পান তিনি। যদিও মামলাটি এখনও বিচারযোগ্য। ২৫ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত প্রার্থীকে পরবর্তী কোনও অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ