মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হলেন আলিপুরদুয়ারের রঞ্জন 


জীবন এবং মৃত্যু মানুষের হাতে নেই।কিন্তু জীবিত অবস্থায় মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব সহজ বিষয় নয়।সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই যুব সমাজের কাছে নজির গড়লেন এক যুবক।মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হলেন আলিপুরদুয়ার ২ নং ব্লকের ডাঙ্গি কলোনির বাসিন্দা রঞ্জন দেবনাথ। 


জীবিত অবস্থায় তো বটেই মৃত্যুর পরও মরদেহ নিয়ে পারিবারিক কলহ এমনকি রাজনৈতিক তরজা দেখতে অভ্যস্ত অনেক মানুষই।কিন্তু সেই মরদেহ যদি কারো আসে এই কথা ভেবে তা জীবিত অবস্থায় দান করে যাওয়া সত্যি এক নজিরবিহীন ঘটনা।কিন্তু স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ২৮ বছর বয়সের রঞ্জন মরণোত্তর দেহদান করে সেই নজির গড়লেন। দীর্ঘদিন থেকে মানুষের জন্য কিছু করবার বাসনা থেকে সে গণজাগরণ মঞ্চের মাধ্যমে দেহ দান করে।তার কথায়,এই কাজের উদ্যেশ্য মৃত্যুর পরে দেহ না পুড়িয়ে স্বাস্থ্য গবেষণার জন্য এবং প্রয়োজনে অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন করার জন্য।যাতে সেই দেহ মানব দেহের অজানা রহস্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করতে পারে তাই তার এই দেহদান বলে জানায় রঞ্জন।



অপরদিকে গণজাগরণ মঞ্চের কো-অর্ডিনেটর সুমিত দেবনাথ বলেন,আমরা মরণোত্তর দেহদানে মানুষকে উৎসাহিত করে যাচ্ছি।মঞ্চের চেয়ারম্যান বাবুন দাস বলেন রঞ্জনের উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানাই, মৃত্যুর পরেও ওর দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে লাগবে।


রঞ্জন এবং গণজাগরণ মঞ্চের এই উদ্যোগ আরও সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দেবে দেহদানে।উন্নত হবে চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অঙ্গহীনরা ফিরে পাবে নিজের হারিয়ে যাওয়া অঙ্গ-এই ভাবনাকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রঞ্জনকে কুর্নিশ জানান অলিপিরদুয়ারের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বেশ কিছু মানুষ।