তিন বছর পর প্রকাশ্যে এসেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের সাথে জোট করার কথা জানালেন বিমল গুরুং 


৩ বছর পর হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে রাজনীতিতে বড় চমক দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। প্রকাশ্যে এসেই বিজেপি ও এনডিএ ছেড়ে তৃণমূলের সাথে জোট করার সিদ্ধান্ত জানালেন তিনি। ২০১৭ সাল থেকে ভিডিও বার্তায় তাঁকে দেখা গেলেও প্রকাশ্যে আসেননি তিনি, ছিলেন আত্মগোপন করে। 



এদিন প্রকাশ্যে এসেই সল্টলেকে গোর্খা ভবনে গেলেও সেখানে ঢুকতে পারেননি তিনি। এরপর কলকাতার একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় আছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ''গোর্খাল্যান্ডের জন্য আমাদের দাবি এখনও রয়ে গেছে, আমরা এই দাবিত অনড়। এটি আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দৃষ্টি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে, আমরা সেই দলকে সমর্থন করব যারা আমাদের দাবি মানবে।"


পাশাপাশি, এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউই কথা রাখেনি। কথা রাখেনি কেন্দ্র। আর তাই যে দল তাঁদের দাবি মেনে নেবে তাঁদের সমর্থন করবে বলে জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। তাই নিজেকে এনডিএ থেকে আলাদা করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট করব এবং বিজেপিকে জবাব দেব। আমরা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতাকে দেখতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। 


পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক খুন, কালিম্পং থানায় গ্রেনেড হামলা ও দার্জিলিংয়ের চক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রয়েছে তাঁর নামে। পুলিশ খুঁজছিল তাঁকে। আত্মগোপন করে ঝাড়খন্ডে ছিলেন তিনি। শেষবার জেপি নড্ডার ছেলের বিয়েতে দিল্লিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর আত্মগোপন সম্পর্কে বিমল গুরুং বলেন, "আমি না অপরাধী, না দেশবিরোধী। আমি একজন রাজনৈতিক নেতা। আমি রাজনৈতিক সমঝোতা চাই। আমি এর আগে গত ২ মাস ধরে ঝাড়খণ্ডে ছিলাম।


এদিন সল্টলেকে গোর্খা ভবনের সামনে গেরুয়া রঙের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তির সাথে গাড়িতে দেখা যায় তাঁকে। গোর্খা ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গুরুংকে। ডাকাডাকিও করেন তিনি, পড়ে কিছুক্ষন অপেক্ষার পর কলকাতর দিকে রওনা দেন তিনি।