গদাধর নদীতে তলিয়ে গেলো দুই নাবালিকা বোন




নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার:-


মামার বাড়ি বেড়াতে এসে আর বাড়ি ফেরা হল না আলিপুরদুয়ার দুই নং ব্লকের ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়াগাড়ী এলাকার দুই বোনের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কোচবিহার এক নং ব্লকের নাটাবাড়ির বড়ো বসপাড়া এলাকায় মামাবাড়ি ঘুরতে এসেছিলো ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়াগাড়ী এলাকার ভজন দাসের দুই নাবালিকা কন্যা। 



মামাবাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গদাধর নদী। নদীটি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার সীমান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে।গদাধর নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল বছর ১৩এর নন্দিনী দাস ও বছর ৭এর জয়িতা দাস নামে দুই বোন । জানা গিয়েছে , মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে দুবোন। সেখানেই রবিবার ১১টা নাগাদ তারা স্নান করতে নামে পার্শবর্তি গদাধর নদীতে। এরপর থেকে আর খোঁজ মিলছে না তাঁদের। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। প্রতিবেশীরাও শুরু করেন খোঁজা। 



খবর পেয়ে ছুটে যায় তুফানগঞ্জ ও শামুকতলা পুলিস প্রশাসন। পরে ডুবুরি এনে তল্লাশি চালায় তুফানগঞ্জ এক নং ব্লক প্রশাসন। কিছুক্ষন পরে উদ্ধার হয় নন্দিনী দাসের দেহ কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি জয়িতার দেহ। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।



এই ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার দুই নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক চিরঞ্জিত সরকারের নির্দেশে ব্লক প্রশাসন থেকে ব্লক আইনি সহায়ক শুভাশিস দেবনাথ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুভাশিস দেবনাথ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং পরিবারটির যা ক্ষতি হলো তার জন্য তিনি গভীর শোকপ্রকাশ করেন। আগামীতে পরিবারটির পাশে সর্বদা আলিপুরদুয়ার দুই নং ব্লক প্রশাসন সর্বোপরি ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে বলে জানান শুভাশিসবাবু। 




এদিন দুপুর থেকেই স্থানীয়রা নদীতে খোঁজাখুঁজি করার পর উদ্ধার করতে পারেনি জয়িতা দাসের দেহ। তুফানগঞ্জ এক নং ব্লকে বি.ডি.এম.ও অনুপ কুমার চাকি জানান যে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খোঁজ মেলেনি জয়িতা দাসের দেহের। আগামীকাল সকালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।