ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশের জালে ফেসে যায় খোদ অভিযোগকারী




সুজাতা ঘোষ , বাগডোগরা :

ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশের জালে ফেসে যায় খোদ অভিযোগকারীরা। এই রহস্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানায়। গতকাল রাতে থানায় ট্রাকের চালক এবং খালাসি এসে ট্রাক ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ জানায়। কিন্তু অভিযোগকারীর বয়ান শুনে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে অভিযোগকারী চালক এবং খালাসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর চালক এবং খালাসির বয়ান অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পায় পুলিশ। এরপরই চালক এবং খালাসিকে গ্রেপ্তার করে গাজোল থানার পুলিশ।



চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে চালক এবং খালাসি। তাদের বয়ান অনুযায়ী রাতেই কালিয়াচক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে খোয়া যাওয়া ব্যাটারি উদ্ধার করে পুলিশ। এখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আরো দুই জনকে। গাজোলের ময়না এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ট্রাকটিকেও। ধৃত চার জনকে এদিন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছে তা জানার জন্য ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।


এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত গাড়িচালক আলম শেখ(২০) এবং খালাসি মনিরুল শেখ(২০)কে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বারহারোয়া থানা এলাকার আবারাটোলা গ্রামে। এছাড়াও কালিয়াচক থানা এলাকার মহেশপুর থেকে রেজাউল শেখ(২৬) ও পিরোজপুর এলাকার মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন শেখ(২০) কে গ্রেপ্তার করেছে গাজোল থানার পুলিশ।



এদিন গাজোল থানার ওসি হারাধন দেব বলেন, 'ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে আসা চালক এবং খালাসির কথাবার্তায় বেশ কিছু অসংগতি আমরা লক্ষ্য করি। এরপরই আলাদা আলাদাভাবে চালক এবং খালাসিকে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে যাই আমরা। সেখানেও বেশ কিছু অসংগতি আমরা খুঁজে পাই। এরপর থানায় নিয়ে আসে দুজনকে মুখোমুখি বসে জেলা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে যে তথ্য উঠে আসে সেই অনুযায়ী তদন্ত চালিয়ে ট্রাক এবং ৭৬১ টি ব্যাটারি আমরা উদ্ধার করেছি। ট্রাক চালক এবং খালাসি ছাড়াও আরও দু’জনকে আমরা কালিয়াচক থেকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের সন্দেহ এই ঘটনার সাথে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারে। তাই আদালতের কাছে ধৃত চারজনের ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেপাজতের আবেদন জানিয়েছি আমরা।'