৫৮ এই পা দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়৷ বর্তমান টলিউড মানেই বুম্বা দা!
তনজিৎ সাহা, কলকাতা:
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৫৮ বছরে পা রাখলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ ৷ তবে তাঁকে দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই যে তাঁর বয়স প্রায় ৬০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছ। সেই আশির দশক থেকে এখন পর্যন্ত সময়টা ৩৫ বছরের বেশি। বিশেষ করে আশির দশকের শেষ সময় থেকে নব্বই কিংবা শূন্য দশকের প্রথম ভাগ টলিউডে রাজত্ব করেছেন তিনি। না, সময়ের সঙ্গে তিনি হারিয়ে যাননি। বরং সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করে তিনি এখনো সমানতালে দাপট ধরে রেখেছেন।সে ছবির ভাষা বাংলা হোক বা হিন্দি বা ইংরেজি।
১৯৬২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই বাংলার সুপারস্টার। তার বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একজন খ্যাতিমান অভিনেতা। তাই ছোট বেলা থেকেই সিনেমার সঙ্গে যোগ তার।এরপর মাত্র ছয় বছর বয়সেই তিনি অভিনয় শুরু করেন ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ নামের একটি সিনেমায়। তারপর কেন্দ্রীয় চরিত্রে তাকে প্রথম দেখা যায় ১৯৮৩ সালের ‘দুটি পাতা’ সিনেমায়। তবে নায়ক হিসেবে সাফল্যের মুখ তখনও দেখতে পাননি তিনি।
অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও কয়েক বছর। এরপর ১৯৮৭ সালে ‘অমর সঙ্গী’ মুক্তি পাওয়ার পর কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় প্রসেনজিতের। তারপর থেকেই একেরপর এক সিনেমায় সফল্যের মুখ দেখছেন তিনি। মনের মানুষ-লালন ফকিরের জীবন নিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাসকে ছবির পর্দায় ধরেছিলেন পরিচালক গৌতম ঘোষ। ভারত আর বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় এই ছবিতে লালনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল নায়ককে। লালনের চরিত্র যে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছে পর্দায়, সে শুধু প্রসেনজিতের অভিনয়ের জোরে। এছাড়াও তার অভিনীত কিছু বিখ্যাত সিনেমার তালিকায় রয়েছে- ‘চোখের বালি’, ‘আমি, ইয়াসিন আর আমার মধুবালা’, ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’, ‘মনের মানুষ’, ‘নৌকাডুবি’, ‘চলো পাল্টাই’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘মিশর রহস্য’, ‘জাতিস্মর’, ‘ফোর্স’, ‘লড়াই: প্লে টু লিভ’, ‘শঙ্খচিল’, ‘প্রাক্তন’, ‘ক্ষত’, ‘জুলফিকার’, ‘ওয়ান’, ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘দৃষ্টিকোণ’, ‘কিশোর কুমার জুনিয়র’, ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’, ‘গুমনামি’, ‘রবিবার’ ও ‘নিরন্তর’ সিনেমাগুলো।
শুধু সিনেমায় সাফল্য আর জনপ্রিয়তা নয় প্রসেনজিতের পুরস্কারের ঝুলিও রয়েছে সমৃদ্ধ। ২০০৭ সালে তিনি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন। এরপর প্রযোজক হিসেবে ‘শঙ্খচিল’ সিনেমার জন্য ২০১৬ সালে আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার, স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড, জি সিনে অ্যাওয়ার্ডসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন । ২০১৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রসেনজিতকে বঙ্গবিভুষণ সম্মানে ভূষিত করে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊