আদাবাড়ি ঘাটের ব্রিজে আলো ও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ,  আলোর ব্যবস্থার আশ্বাস বিধায়কের  




কোচবিহার জেলার আদাবাড়ি ঘাটের ব্রিজে আলো ও নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় পথচারী থেকে শুরু করে যান চালকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন প্রতিটি মুহূর্তে। যেকোনো সময় ছিনতাই বা নাশকতামূলক ঘটনা ঘটতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন যাত্রী থেকে শুরু করে টোটো, অটো চালকেরা। 



উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই আদাবাড়ি ঘাটের ব্রিজ সিংগীমারী নদীর উপর এই ব্রিজ। সিতাই এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ তাদের অফিস আদালত থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা এই সিংগীমারী নদী পার হয়ে আসতেন নৌকোয় করে। অত্যন্ত তাদের কঠিন জীবন সংগ্রাম ছিল কৃষিজাত পণ্য ব্যবসায়ীরা ভ্যানে করে নিয়ে এসে নৌকায় তুলে কয়েকমাইল বালির উপর দিয়ে হেঁটে নৌকায় তুলতে হত, ভ্যান গাড়ি গুলোভরা বর্ষায় কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যেত খেয়া পারাপার নদীতে জল বাড়ার কারণে তখন বাধ্য হয়ে সিতাই এর কয়েক লক্ষ মানুষ মাথাভাঙ্গা হয়ে ঘুঘুমারি দিয়ে দিনহাটা মহকুমা আসতেন বাসে করে ১০৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। অতীতের করুন কাহিনী দীর্ঘদিন ধরে বহু আন্দোলনের এই ব্রিজ অবশেষে নির্মাণ করা হয়। 



এই ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর করা হয়েছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়। ২০১৫ সাল যার আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক কেশব চন্দ্র রায়। তিনি অত্যন্ত মর্মাহত ব্রিজ নির্মাণ হলেও এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। ব্রিজে না আছে কোন আলোর ব্যবস্থা না আছে কোন নিরাপত্তারক্ষী। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই ব্রিজ। ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত কারি সাধারণ মানুষের অভিযোগ তারা অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে পারাপার হন, যেকোনো মুহূর্তে প্রাণ সংশয় হতে পারে তাদের আশঙ্কা। 



সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্রিজ নির্মাণ হলেও আলো থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী কোন কিছুই নেই, আর কবে হবে এই ব্রিজের সরকারিভাবে উদ্বোধন? কবে হবে তা কেউ জানে না। সরকারিভাবে উদ্বোধন না হওয়াতে মোটরগাড়ি নিয়মিতভাবে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না এমনটাই জানা গেছে বাস ইউনিয়নের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে। যদিও সিতাই এর বর্তমান .তৃণমূলের বিধায়ক জগদীশ বসনিয়া জানিয়েছেন ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা তিনি করবেন কিন্তু কবে ব্রিজ সরকারিভাবে উদ্বোধন হবে এ বিষয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। 



উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আমাদের ক্যামেরার সামনে আসেননি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এই দুর্গাপূজা এই উৎসবে ব্যবসায়ীরা নানান কাজে সিতাই থেকে দিনহাটা যাতায়াত করছেন যেকোনো মুহূর্তে তারা দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে পারেন এমনটা আশঙ্কা রয়েছে। দিনহাটা মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হচ্ছেন দুষ্কৃতীদের হাতে আদাবাড়ি ঘাটের ব্রিজের এই হাল দেখে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিকে সিংগীমারী নদীর স্রোত আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশ পৌঁছালো ব্রীজের পরিষেবা এখনো পর্যন্ত সিতাই দিনহাটা মহকুমার মানুষের কাছে পৌঁছায়নি তা নিয়ে বড়োসড়ো রকমের  প্রশ্ন উঠেছে।