চরম বিপাকে রাজ্যের বিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের শিক্ষকগণ



বর্তমানে বিশ্ব মহামারী করোনার কবলে চরম বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলের আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষকগণ। স্কুল কতৃপক্ষ তাঁদের নিয়োগ করেন এবং সামান্য বেতন দেন। সাথে কাজের কোনো স্থায়ীত্বও নেই। তার উপর টিউশন পড়ানোও বন্ধ। সব মিলিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা রাজ্যের কয়েক হাজার আংশিক সময়ের শিক্ষকের। 


পঃ বঃ  আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ( SPTTA) এর রাজ্য সভাপতি সমীর কুমার দেওঘোরিয়া বলেন "কলেজর অতিথি অধ্যাপক ও আংশিক সময়ের অধ্যাপকগনও তাদের মতো কলেজ কতৃপক্ষ দ্বারা নিযুক্ত হন। তাদের সরকার স্থায়ীকরন করেছেন। কিন্তু স্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের কাজের কোনো স্থায়ীত্ব নেই।"

তিনি আরও বলেন "আমরা সরকারের কাছে আমাদের স্থায়ীকরনের আবেদন করেছি। বার বার শিক্ষা মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আবেদন করেছি কিন্তু কোনো কাজ হয় নি।বর্তমানে বিশ্ব মহামারী করোনার জন্য সারা দেশে লক ডাউন চলছে। এখন আমরা করোনার জন্য গৃহ শিক্ষকতা করাও বন্ধ রেখেছি। এইরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে সংসার চালানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অতি কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা জীবন যাপন করছি।তাই আমাদের এই দুঃসময়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আমাদের আপৎকালীন সাহায্য প্রদান ও আমাদের স্থায়ীকরনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি করছি।আশাকরি উনি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাহায্য করবেন।"


জানাগেছে ৫ সেপ্টেম্বরের আগেই জেলায় জেলায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছেন পঃ বঃ  আংশিক সময়ের বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ( SPTTA)।