সুজাতা ঘোষ বাগডোগরা 

আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস ।১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল ঠিকই এটা যেমন আনন্দের তেমনি এই স্বাধীনতা এসেছিল ভারত মায়ের বুক চিরে ,দেশভাগের মধ্য দিয়ে। এই দেশভাগ ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্ধকারময় অধ্যায়। দেশভাগের জন্য জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারা কতটা দায়ী ছিল বা কংগ্রেস মুসলিম লীগ বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলি কতটা দায়ী ছিল - এই বিতর্কে মধ্যে না গিয়েও একথাও ঐতিহাসিক সত্য হিসাবে মেনে নিয়েছেন সকলে যে আমরা দেশভাগের মূল্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। তবে ২০০ বছর ইংরেজ রাজশক্তির শাসনাধীনে থাকার পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ই আগস্ট ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সারা দেশের পাশাপাশি আজ শিলিগুড়ি শিক্ষক - শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। করোনা অতিমারির কারণে প্রতি বছরের মতো এবছর সাড়ম্বরে পালিত না হলেও ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। এদিন শিলিগুড়ি শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. বিভূতিভূষণ সারেঙ্গী মহাশয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ।



উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপিকা বৃন্দ - ড. নীতা মিত্র, ড. ঋতুপর্ণা বসাক (দাশগুপ্ত) ড. নিত্য গোপাল মন্ডল ,ড. রত্না নন্দী, কনাদ দত্ত ও অন্যান্য শিক্ষাকর্মীরা ।

এদিন ড. নীতা মিত্র বলেন -'১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে শিলিগুড়ি বি. এড. কলেজে যোগদান করেছি। তারপর ২০টি স্বাধীনতা দিবস পার করেছি। প্রতিবছর কলেজের অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতোই এই দিনটিতে শিক্ষার্থীরা প্রধান ভূমিকা নিয়েছে।তারা আয়োজন করেছে; আমরা তাদেরকে আশীর্বাদ করেছি, অনুপ্রাণিত করেছি। আজকে স্বাধীনতা দিবসে আমরা কলেজের শিক্ষক- শিক্ষাকর্মীরা প্রতিকূলতার মধ্যে উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা তুলে ধরলাম। কিন্তু দেশের যারা ভবিষ্যত, যাদের হাতে পতাকার সম্মান তুলে দেওয়ার কথা তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাথে নিতে পারলাম না। এই অসম্পূর্ণতা মনকে ভারাক্রান্ত করছে। এই পরিস্থিতি থেকে বার হয়ে আসার পথ ভাবতেই হবে। ছাত্র- ছাত্রীদের নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানকে পূর্ণতা দিতে হবে।'