স্বাধীনতা দিবসে নিগমনগরের 'মানবিক দেওয়াল' এর ২০ তে কুড়ি হল ২০ তে ১৫০

 

স্বাধীনতা দিবসে নিগমনগরের 'মানবিক দেওয়াল' এর ২০ তে কুড়ি হল ২০ তে ১৫০

SANGBAD EKALAVYA:

গত বছর মার্চ মাসে নিগমনগর নিগমানন্দ সারস্বত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গঠিত নিগমানন্দ সারস্বত বিদ্যালয় প্রাক্তনী সংঘের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে 'মানবিক দেওয়াল' নামে একটি প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছিল যার উদ্দেশ্য ছিলো এলাকার দুঃস্থ মানুষদের হাতে  জামাকাপড় তুলে দেওয়া। তবে নতুনত্ব ছিল এটাই যে নিজেদের অব্যবহৃত জামাকাপড় সেই মানবিক দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হত, প্রায়োজন মতো মানুষ এসে নিয়ে যেতো। 



করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে অসহায়দের হাতে খাবার তুলে দিতে তাঁরা শুরু করেছিলো '২০ তে কুড়ি'। অর্থাৎ প্রতিদিন বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের সাথে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ২০টি করে প্যাকেট ঝুলিয়ে রাখা হতো মানবিক দেওয়ালে। প্রয়োজন মতো একটি করে প্যাকেট নিয়ে যেতেন অনেকেই। এই মানবিক দেওয়ালের কর্মকান্ড মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে দুঃস্থদের আনাগোনা। মুখে হাসি ফোটে উদ্যোক্তাদের। 

আজ ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে 'মানবিক দেওয়াল' এর পক্ষ থেকে ১৫০ প্যাকেট খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয় উপস্থিত মানুষদের হাতে। আজকের খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ছিল মুসুর দল, সয়াবিন, আটা, টোস্ট, আম, ন্যাসপাতি, বেদানা, আপেল, লাড্ডু ও চকলেটের প্যাকেট। পাঁচ মাসেরও অধিক সময় ধরে এই কর্মকান্ড চলার পর আজ ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে উদ্যোক্তারা এই '২০ তে কুড়ি' সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন পরিস্থিতি অনুযায়ী আলোচনা সাপেক্ষে এটা আবার শুরু করা হবে। যদিও এখন আবার আগের মতো করে অব্যবহৃত জামাকাপড় ও জুতো ঝোলানো থাকবে এই মানবিক দেওয়ালে।


আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী অনির্বাণ নাগ, শিক্ষক শ্রী ভাস্কর দাস, বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের পক্ষে সুকান্ত চক্রবর্তী, সন্তোষ বর্মন, সঞ্জয় বিষ্ণু, উজ্জ্বল গুহ, অসিত দেবনাথ, ধনঞ্জয় গোস্বামী, টিটু দেবনাথ, অমিত কুন্ডু, অপরাজিতা চক্রবর্তী প্রমুখ।

Post a Comment

thanks