স্বাধীনতা দিবসে  ক্রিকেট মহলে বড় ঝটকা দিলো মাহি



স্বাধীনতা দিবসে  ক্রিকেট মহলে বড় ঝটকা দিলো মাহি (ms dhoni)।  আজ থেকে তাঁকে আর দেখা যাবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (international cricket) খেলায়। 


ICC তাঁর অবসরের কথা অফিসিয়ালি জানিয়েছে। 

সচিন টেন্ডুলকর ট্যুইটার বার্তায় জানিয়েছেন- ভারতীয় ক্রিকেটে আপনার অবদান অপরিসীম। একসাথে ২০১১ বিশ্বকাপ জেতা আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত। আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ২ য় ইনিংসের জন্য অত্যন্ত শুভেচ্ছা জানাই।" 

নিঃশব্দে অবসর নিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনী। তিনি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। দেশের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানও। তার সমগ্র ক্রিকেট কেরিয়ারে ছিলেন সেরার সেরা। যাতে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের কথায় তাঁর হাতে ছিল 'মিডাস টাচ'। এহেন 'ক্যাপ্টেন কুল' মহেন্দ্র সিং ধোনি নিঃশব্দে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার থেকে অবসর ঘোষণা করলেন। গত বছর ৯ জুলাই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হারের পর থেকে ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। অবশেষে আজ ভারতের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করলেন তিনি। অর্থাৎ আসমুদ্রহিমাচলের অগণিত ক্রিকেট ভক্ত বঞ্চিত হল ধোনির বিখ্যাত 'হেলকপ্টার শট' থেকে।

১৯৮১ সালের ৭ জুলাই ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে জন্মগ্রহণ করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্রিকেটার ডানহাতি ব্যাটসম্যান ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পন করবেন। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। ভারতীয় দলের পাশাপাশি বিহার ক্রিকেট দল, ঝাড়খন্ড ক্রিকেট দল ও IPL এর চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছেন তিনি।


ধোনির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরিসংখ্যানঃ 


টেস্টঃ গোটা ক্রিকেট কেরিয়ারে ৯০ টি টেস্ট খেলে ৩৮০.৯ গড়ে ৪,৮৭৬ রান করেছেন তিনি যার মধ্যে ৭ টি স্ট্রং ও ৬৬ টি অর্ধশতরান রয়েছে। সর্বোচ্চ রান ২২৪। 


একদিনের ম্যাচঃ ৩৫০ টি ওডিআই ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০,৭৭৩ রান করেছেন ধোনি যার মধ্যে ১০ টি স্ট্রং ও ৭৭ টি অর্ধশতরান করেছেন। সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১৮৩। 


টি-২০ ম্যাচঃ ৯৮ টি টি-২০ ম্যাচে ৩৭.৬০ গড়ে ১,৬১৭ রান করেছেন। ২টি অর্ধশতরান সহ সর্বোচ্চ ৫৬ রান। 


IPL পরিসংখ্যানঃ IPL এর শুরু থেকেই অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসের (CSK) অধিনায়ক তিনি। ২০০৮ সালে শুরু হওয়ার পর ২০১০, ২০১১ ও ২০১৮ সালের IPL খেতাব জিতেছেন তিনি। এছাড়াও CSK ২০১০ ও ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি-২০ খেতাবও জিতেছে তার অধিনায়কত্বে।

তাঁর অধিনায়কত্বেই ভারত ২৮ বছর পর ২০১১ সালে একদিনের ক্রিকেটে পুনরায় বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পায়। তার চেনা পরিচিত ঢঙেই ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে কাপ এনে দিয়েছিলেন। আপামর ভারতবাসী মেতে উঠেছিলেন উৎসবে।