SANGBAD EKALAVYA: 

দেশের করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। এমতাবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আনলক ৪ দেশব্যাপী লাগু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আনলক ৪ কতটা যুক্তি সংগত সেটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। 


গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বাধিক ৭৮,৭৬১ জন সংক্রমিত হয়েছে।  যা রেকর্ড সংক্রমণ বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সংক্রমণের বিচারে বিশ্বে তিন নম্বরে ভারত। প্রথম দুয়ে ইউএস ও ব্রাজিল। গত ২৬ দিন ধরে  সংক্রমণের শীর্ষে ভারত রয়েছে।  গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৯৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে। দেশে  মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৩,৪৯৮ জন হয়েছে । এই পরিবেশে আনলক ৪ দেশব্যাপী কতটা যুক্তিযুক্ত সেটাই সব চাইতে বড় প্রশ্ন এখন। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী চালু করা হবে মেট্রো পরিষেবা। তবে এখনই চলবে না শহরতলির ট্রেন। পাশাপাশি কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে লকডাউনে নিতে হবে কেন্দ্রের অনুমতি। 

২১ সেপ্টেম্বর থেকে সর্বাধিক একশো জনের জমায়েতে মিটিং-মিছিলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই জমায়েতে আয়োজিত করা যেতে পারে ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান। তবে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধই থাকবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রসঙ্গত আনলক ৪ এ বিদ্যালয় খোলা নিয়ে  অসন্তুষ্ট শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার সংবাদে প্রকাশ- "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চতুর্থ দফার আনলক পর্বে শিক্ষা সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা এখনও তাঁর কাছে এসে পৌছয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই নিয়ে রাজ্য সরকার যা নির্দেশ দেবে সেই মতে চলা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমাদের উদ্বেগ পড়ুয়াদের নিয়ে। তবে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি রাখব।”

নির্দেশিকা তাঁর হাতে না পৌঁছলেও ওই নির্দেশিকা সংক্রান্ত যেটুকু জানতে পেরেছেন সেই বিষয়ে পার্থবাবু বলেন, “অভিভাবকেরা লিখিত সম্মতি দিলে তবেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে পারবেন। এমন নির্দেশের অর্থ কী? কোনও অভিভাবক হয়তাে অনুমতি দিলেন কোনও অভিভাবক দিলেন না। তখন কী ভাবে চলবে স্কুল? কী ভাবেই বা পঠনপাঠন হবে? শিক্ষকরা কী ভাবে আসবেন?” 

পার্থবাবুর মতে, বহু পড়ুয়া দূর থেকে পড়তে আসে। এখনও ট্রেন, বাস ঠিক মতো চলছে না। এর মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি বা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়ারাই বা কী ভাবে আসবে?  

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন দানা বেঁধেছে-এবছরের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষাবর্ষ কি হবে? ৩০ সেপ্টেম্বরের পড়ে যদি বিদ্যালয় খোলা হয় তবে  অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তাহলে সেক্ষেত্রে বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। আর তার ফলে সব মিলিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের  ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে খুব বেশি সময় পাবে না , যদি আগেরমতন ফেব্রুয়ারী বা মার্চে পরীক্ষা হয়। 

এক্ষেত্রে শিক্ষাদপ্তর এখনো কোন স্পষ্ট বিজ্ঞপ্তি না দেওয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে।