পৃথিবী জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.১ কোটি ছুঁইছুঁই। এখন নড়েচড়ে বসল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে ডিগবাজি খেয়ে এখন তারা অবশেষে স্বীকার করল, মহা-সংক্রমক এই ভাইরাস সম্পর্কে চিন সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জকে সময়মতো অবগত করেনি। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই অভিযোগ করেছেন, চিনের ওপর নরম হু। যে কারণে, চিনা ভাইরাস বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি হু এর সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানান তিনি। যদিও, হু-এর মহাসচিব আধানম ঘেব্রেসিয়াস জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও হু-এর সদস্য।

এক মার্কিন সাপ্তাহিক পত্রিকার দাবি, হু-এর ওয়েবসাইট থেকে একটা তথ্য প্রত্যাহার করা হয়েছে যেখানে আগে বলা ছিল- উহানে নিউমোনিয়া সংক্রমণের রিপোর্ট করেছে চিন।

পত্রিকা জানিয়েছে, গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত হওয়া মার্কিন হাউস বিদেশ বিষয়ক কমিটি রিপাবলিকান্স-এর অন্তর্বর্তী রিপোর্টে বলা হয়েছিল, উহানে শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণের খবর একেবারেই জানায়নি চিন। এরপরই, নড়েচড়ে বসে অত্যন্ত গোপনে "টাইমলাইন অফ হু-জ রেসপন্স টু কোভিড-১৯" শীর্ষক ঘটনাক্রমে মঙ্গলবারপরিবর্তন করে হু।

আগে হু-এর ওয়েবসাইটে "টাইমলাইন অফ হু-জ রেসপন্স টু কোভিড-১৯" ছিল হুবেই প্রদেশের উহানে একাধিক নিউমোনিয়া সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানায় উহানের পুর-স্বাস্থ্য কমিশন। যার অব্যবহিত নোভেল করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়েছিল। এখন তা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে, উহানের পুর-স্বাস্থ্য কমিশনের ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করা চিনা সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্ট পায় চিনে অবস্থিত হু-এর দফতর। সেখানেই বলা হয়েছিল, উহানে দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়া এক 'ভাইরাল নিউমোনিয়া'-র কথা।

আগের বক্তব্যের অর্থ ছিল, চিনা প্রশাসন প্রথম ঘটনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু, পরিবর্তিত বক্তব্যের অর্থ হল হু আসলে চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ওই ধারনা করেছিল। সরকারিভাবে, হু-কে এই ভাইরাল সংক্রমণের কথা জানানো হয়নি।