সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে মারা যান একজন৷ সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত 2016 সালের রিপোর্টে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে ২০১৬ সালে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার আর তাতে প্রাণ হারায় প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ৷ অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি৷ আর অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তি কে যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো যেমন যায় না তেমনি চিকিৎসাক্ষেত্রেও তৈরি হয় সমস্যা। 

সবদিক খতিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক মন্ত্রক, গাড়ী দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মোটর ভেহিকলস আইন ২০১৯ এর অধীনে নগদ বিহীন চিকিৎসার প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এই প্রকল্পে দুর্ঘটনার পরেই দুর্ঘটনাগ্রস্তর গুরুত্বপূর্ণ কয়েক ঘন্টার পরিচর্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

পি আই বি সূত্রে জানা গেছে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সব রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রধান সচিব এবং পরিবহন সচিবদের চিঠি দিয়ে, চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এই প্রকল্পের বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে গাড়ী দুর্ঘটনা তহবিল গঠনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পে  যে বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা হচ্ছে-

  • পি এম-জে এ ওয়াই প্রকল্পের নোডাল সংস্থা হবে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং দেশজুড়ে ২১ হাজারেরও বেশি হাসপাতালকে এই প্রকল্প রূপায়ণে যুক্ত করা হবে।
  • এই প্রকল্পে দেশের সড়ক ব্যবহারকারী প্রত্যেককে বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 
  • প্রকল্পের অধীনে যে তহবিল গঠন করা হবে তা দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের চিকিৎসা খাতে ব্যয় হবে।
  • তহবিলের অর্থ দুর্ঘটনায় আহতদের ক্ষতিপূরণ এবং নিহতদের নিকট আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হবে। 
  • দুর্ঘটনাগ্রস্তদের ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসার খরচ মেটানোর ক্ষমতা থাক বা না থাক সঠিক সময়ে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধক হবে না বলে প্রকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে।