তনুময় দেবনাথ, দিনহাটাঃ 
সারাদেশে চলছে করোনা মহামারী পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যও l যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার l শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সরকারি ঘোষণা মত ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এর মেয়াদ বাড়তে পারে l 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকলেও সরকার বিভিন্ন দফায় ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিলের আওতায় খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে l 

দিনহাটা ব্লক ২ এর অধিনস্থ স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকারা অভিযোগ করেন সরকারি ঘোষণা মত ৬ ই জুলাই থেকে তাঁরা স্কুলে অপেক্ষায় আছেন খাদ্য সামগ্রী স্কুলে পৌঁছবে কিন্তু ৯ ই জুলাই দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুলে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ হয়নি l অভিভাবকদের মধ্যেও চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে তাঁদের অভিযোগ দুইদিন ধরে স্কুলে এসে ফিরে যাচ্ছি খাদ্য সামগ্রী ছাড়াই l

এদিকে, আজ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এবিষয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় দিনহাটা ২নং বিডিও-কে। স্মারকলিপিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে সঠিক সময়ে খাদ‍্য সামগ্রী না পৌঁছালে কতটা হয়রানির সম্মুখীন হতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক-অভিভাবিকাদের।  

সংগঠনের পক্ষথেকে রাজ্যপ্রতিনিধি সুব্রত নাহা বলেন- এই গাফিলতির জন্য  সঠিক সময়ে খাদ‍্যসামগ্রী অভিভাবকদের হাতে তুলে দিতে না পারায় তারা শিক্ষকদের ভুল বুঝছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নির্দিষ্ট  সময়ে অর্থ কিংবা খাদ্যসামগ্রী ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে না পাবার কারনে আমরা বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে পারিনি। অর্থাৎ সরকারি নিয়ম এক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই আমরা মনে করি। সর্বপরি জনমানসে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।" 

তাই তিনি বলেন- "এমতাবস্থায় সরকারি নির্দেশাবলী লঙ্ঘিত হওয়ার জন্য প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিডিও'র কাছে আবেদন জানিয়েছি।"