ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ চিনে খুবই সাধারণ ঘটনা। সেখানে কন্টেন্টের ওপর সরকারি নজরদারি খুবই কঠোর। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলির যেগুলো আমরা অ্যাকসেস করি সেগুলো প্রকৃতপক্ষে সেখানে পাওয়া যায় না। আর সে দেশের সরকারের এই চেষ্টার ফলে চিনের ইন্টারনেট ইউজারদের কাছে তৈরি হয়েছে ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে, বিশেষ বিশেষ আইপি অ্যাড্রেসগুলির ওপর রাশ, নির্দিষ্ট ইউআরএল ও কিওয়ার্ডে লাগাম টানার কাজ জোরাল করেছে।

ঘরোয়া ইন্টারনেটে সেন্সর ও নজরদারি বজায় রাখতে আইনি ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির প্রয়োগে গড়ে উঠেছে চিনে ওই ‘ফায়ার ওয়াল’। এর ফলে কী কিওয়ার্ড সার্চ করা যাবে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। 

চিনে যে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলি ব্লকড
  • গুগল প্রোডাক্টস 
চিনে গুগল সার্ভিস নিষিদ্ধ। ২০১০ থেকেই এ গুলি চিনে ব্লক করা হয়েছে। ইউটিউব, গুগল ম্যাপ সবটাই। এখানে স্থানীয় জিপিএস পরিষেবার ওপর নির্ভর করতে হয়। সেখানকার ইউজারজের মধ্যে কন্টেন্টের বিষয়বস্তুর প্রবাহে রাশ টানতেই এই নিয়ন্ত্রণ। ইউটিউবও এর পরিবর্তে আলিবাবার অধীনস্থ ইউকু ডট কম, ও টেনসেন্ট ভিডিও এর স্থান নিয়েছে। তিয়েনআনমেন স্কোয়ার হত্যাকাণ্ডের ২০ তম বার্ষিকীর সময় যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, তা এখনও চলছে। 
  • ফেসবুক
২০০৯-এ জিনজিয়াং প্রদেশে স্বাধীনতা কর্মীরা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করা হয়। এরপর থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক চিনে ব্লক করা হয়।
  • ট্যুইটার
২০০৯ থেকে চিনে ব্লক রয়েছে ট্যুইটার। যার স্থান নিয়েছে ওয়েইবো। 
  • ইনস্টাগ্রাম
ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চিনে ব্লক। এই প্ল্যাটফর্মে হংকং-এর আমব্রেলা রেভোলিউশনের ছবি এই প্ল্যাটফর্মে উঠে আসতে থাকায় চিনের কর্তৃপক্ষ তা ব্লক করে দেয়। 
  • টিন্ডার
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ডেটিং অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে এবং পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে এর ক্লোন টনটন। 
  • মিডিয়া
চিনে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়েশিংটন পোস্ট, হাফপোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, ডেলি মেলের মতো অনেক সংবাদমাধ্যমে ওয়েসাইটে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।