মঙ্গলবার সিবিএসই ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মধ্যে হওয়া আলোচনায় ৩০ শতাংশ সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোভিড ১৯ মহামারীর জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল কলেজ, তাই শিক্ষার্থীদের চাপ কমাতে এই সিলেবাস হ্রাস।
কিন্তু কিছু কিছু মহলের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা,জাতীয়তাবাদ,সার্বভৌমত্ব বিষয়ক চ্যাপ্টারগুলি পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও পোখরিওয়াল এই দাবি উড়িয়ে বলেছেন,এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,কারণ সমাজবিজ্ঞান ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয়ের পাঠ্যক্রমও কমানো হয়েছে। তিনি বলেছেন,দয়া করে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি এনে ফেলবেন না, বরং শিক্ষিত রাজনৈতিক মতামত পোষণ করুন। ভাবী প্রজন্মের প্রতি আমাদের কিছু দায়বদ্ধতা আছে।
সিলেবাস কমানোর বিষয়কে ঘিরে সমালোচনার ঝড় বইছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার অসংখ্য সমালোচনামূলক পোস্টের বিরুদ্ধে সরব হলেন খোদ মন্ত্রী রমেশ নিশাঙ্ক পোখরিওয়াল। তিনি বলেন, অযথা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ এর এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ কম পেয়েছে বলেই কিছুটা ভার লাঘবের জন্য পাঠ্যক্রম থেকে খানিকটা অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
সিবিএসই-র তরফে জানানো হয়েছে, তারা এনসিইআরটি-র বার্ষিক পঞ্জিকা অনুযায়ী তাদের পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করেছে। যেটুকু বাদ দেওয়া হয়েছে, তা কেবল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্যই।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊