সরকারের নীতি অনুসারে, মন্ত্রক ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত অগ্রণী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নিশাঙ্ক জানান।
‘স্টে ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ক বিশেষ সভা করলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক
নতুন দিল্লিতে মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক সহ মন্ত্রকের অধীন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান/কারিগরি সংগঠনগুলির প্রধানদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’। এই বৈঠকের মূল উদ্দ্যেশ ‘স্টে ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ বা ভারতে থেকে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাওয়া বিষয়ক। এছাড়াও, এই সভায় বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জয় ধোত্রে, উচ্চ শিক্ষা সচিব শ্রী অমিত খারে, ইউজিসি-র চেয়ারম্যান শ্রী ডি পি সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বহু ছাত্রছাত্রী বিদেশে পড়াশুনা করতে না গিয়ে এখন দেশেই পঠন-পাঠনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। বহু ছাত্রছাত্রী সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়ার উদ্বেগ নিয়ে দেশে ফিরছেন এবং মন্ত্রক ছাত্রছাত্রীদের জন্য তাঁদের অধ্যয়ন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সর্বাত্মক প্রয়াস নিচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মন্ত্রক অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। বিদেশে গিয়ে পড়াশুনায় ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের দেশে থেকেই প্রয়োজনীয় অধ্যয়নের সুযোগ-সুবিধা মেটানো এবং বিদেশ ফেরৎ ছাত্রছাত্রীদের উদ্বেগ দূর করে তাঁদের দেশেই অসমাপ্ত পাঠ্যক্রমের অধ্যয়ন শেষ করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা।
পোখরিয়াল আরও জানান, প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী ২০১৯ সালে পড়াশুনার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। এর ফলে, একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চিত হওয়ার পরিবর্তে দেশের বাইরে চলে গেছে তেমনি বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীও অধ্যয়নের জন্য বিদেশেই থেকে গেছেন। এর জেরেই মন্ত্রক বিদেশ ফেরৎ ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়নের সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এদিনের এই বৈঠকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইউজিসি-র চেয়ারম্যান। আরও বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী দেশে থেকেই পড়াশুনা করতে পারেন, তার জন্য নীতি-নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এআইসিটিই – এর চেয়ারম্যান কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি তত্ত্বাবধান করবেন। এমনকি, আইআইটি, এনআইটি এবং আইআইআইটির মতো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির নির্দেশক, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়ে পৃথক একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা করবে এই কমিটি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊