উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করলেও মন ভালো নেই সুরজের। 


বাবা পেশায় চা বিক্রেতা। দোকানের আয় উৎস জোগায় দুবেলা অন্ন। তাই স্বপ্ন পূরণে অর্থ বাঁধ সাধতে পারে ভেবেই সাফল্যের হাসি কার্যত অনেকটাই ম্লান সুরজের মুখে। 

তবে স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাহায্যের ভরসায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সুরজ। 

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ লক্ষ্মীকান্ত উচ্চতর মাধ‍্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সুরজ রায়। তার বাড়ি জল্পেশ এলাকায় । এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান সুরাজ। 

উচ্চ মাধ্যমিকে তার প্রাত্ব নম্বর ৪৭৮ । কৃতি ছাত্র সুরজ বরাবরই ভালো ফল করে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে। মাধ্যমিকেও সে বিদ্যালয়ের  প্রথম সারির ছাত্র ছিল। এবারের পরিক্ষায় প্রত্যেক বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর হল বাংলায় ৯৪, ইংরেজিতে ৭৪, ভূগোলে ৯৭, শিক্ষাবিজ্ঞানে ৯৬, সংস্কৃতে ৯৬ । তার এই সাফল্যে খুবই খুশি পরিবার পরিজন ও স্থানীয় সকলেই। 

আগামিতে একজন ডব্লিউ বিসিএস অফিসার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় সে। কিন্তু আর্থিক অনটনেই এখন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সামনে। এতদিন সংগ্রাম করেই এগিয়ে এসেছে সে তাই আগামী দিনেও প্রয়োজনে সংগ্রাম করেই বাধা বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কৃতী সুরজ । 


সুরজের বাবা মা উমেশ চন্দ্র রায় ও মা রুবি রায় জানান " ছেলেকে পড়াতে চাই । আগামীতে সুরজ ডব্লিবিসিএস অফিসার হতে চায়। কিন্তু তার উচ্চশিক্ষার এত টাকা কোথায় পাব। চায়ের দোকানের উপর নির্ভর করে সংসার চলে। তাই অনেক কষ্ট করে ওকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। পরিবারে আরো দুই সন্তান রয়েছে তাদের শিক্ষা সামগ্রী ও টিউশানির ব্যায়বহনেও অর্থ প্রয়োজন। সরকারিভাবে সুরজকে আর্থিক সহায়তা করা হলে আগামীতে ওর স্বপ্ন পূরণ হবে।