প্রিয়ঙ্কা, তাঁর মা তথা কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও ভাই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর এলটি এসপিজি নিরাপত্তা বলয় গত বছরের নভেম্বর তুলে নেওয়া হয়। এবার ১ আগস্টের মধ্যে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে দিল্লির সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে নির্দেশ জারি করল কেন্দ্র। বাংলো না ছাড়লে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রকের নোটিসে প্রিয়ঙ্কাকে দিল্লির সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকাগুলির অন্যতম লোধি রোডের বাংলো ছাড়তে বলা হয়েছে। কারণ দেখানো হয়েছে, তিনি আর স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী নন।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যেহেতু প্রিয়ঙ্কা গান্ধি এখন আর এসপিজি নিরাপত্তা পান না, সেই কারণে তিনি আর সরকারি বাসস্থান পাওয়ার অধিকারীও নন৷ তাই নয়াদিল্লির ৩৫ লোধি এস্টেটের টাইপ ৬বি-র যে ৩৫ নম্বর আবাসন আপনার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল, তা ১ জুলাই থেকে বাতিল করা হল। ১ আগস্টের পর তিনি সেখানে থাকলে জরিমানা দিতে হবে বলেও প্রিয়ঙ্কাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিউ দিল্লির লোধি এস্টেটের সরকারি বাসভবনে ১৯৯৭ সাল থেকে থাকতেন প্রিয়াঙ্কা৷
এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পর সনিয়া, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির জন্য গোটা দেশেই সিআরপিএফ-এর জেড প্লাস স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ দেশের মধ্যে এসপিজি-ই সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা৷ গত বছর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর এসপিজি নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল৷ বর্তমানে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এসপিজি এলিট কম্যান্ডোদের নিরাপত্তা পান৷২৮ বছর পর এই প্রথমবার গান্ধি পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে৷
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊