করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সারা দেশ পিছিয়ে নেই আমাদের রাজ্যওl কাজ হারিয়েছে বহু দিন মজুর, শ্রমিক থেকে বহু ব্যবসায়ীl সব থেকে বিপাকে পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা, বাড়ী ফিরে তাঁরা কর্মহীন l এমন অবস্থায় সরকারি ঘোষণা মত তাঁদের বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী অন্য সাধারণ মানুষের তুলনায় পরিমানে বেশি পাবার কথাl কিন্তু দিনহাটা ১নং ব্লকের অন্তর্গত ওকড়াবাড়ী অঞ্চলের বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের অভিযোগ অন্যান্য অঞ্চলে সেই ত্রাণ পেলেও তাঁরা ত্রাণ পাননি। ওকরাবাড়ি অঞ্চলে খাবারের দুর্নীতি নিয়ে চললো বিক্ষোভ। ওকরাবাড়ি অঞ্চলের ইন্দ্রোনারায়ন গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটে তালা ঝুলিয়ে চললো বিক্ষোভ।


বাড়ি ফেরার পর দিনের পর দিন কেটে গেলেও তাঁদের কাছে সরকারের দেওয়া কোনও ত্রাণই পৌঁছায়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সরকার যে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল তার কোনোটাই তারা পায়নি। বিক্ষোভ কারীদের মধ্যে একজন বলেন দিনহাটা ২নং ব্লকের অনেক মানুষ এই খাবার পেয়েছে কিন্তু আমাদের বঞ্চিত করা হলো কেন ? এর জবাব আমরা চাই। তিনি বলেন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করা হয়েছে ঠিকি কিন্তু তাদের কোনো খেয়াল রাখা হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ ত্রানের জন্য বিডিও গেলে তাঁরা বলে অঞ্চলের কথা অঞ্চলে গেলে তাঁরা বলে আশাকর্মীর কথা এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁদের। তাই তাঁরা অবশেষে বটতলার অন্তর্গত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অবশেষে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাঁদের দাবি, বিডিও, অঞ্চল সকলকে এখানে ডেকে এই বিষয়ের সমাধান করা হোক।


বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আর একজন বলেন কেন বার বার আমাদেরকে পথে নামতে হচ্ছে? এখন কি তাহলে লুঠের রথ চলছে? সরকার আমাদের খাবার দিচ্ছে আমরা শালিসে পাচ্ছিনা কেন? তিনি আরো বলেন এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা কিভাবে চলবো? আমরা পরিজয়ীরা অনেক কষ্ট করে বাড়ি ফিরেছি কিন্তু আমাদের উপর কোনো খোঁজ নিচ্ছেনা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানরা।


অবশেষে সেই বিক্ষোভকারীদের কাছে উপস্থিত হয় ওকড়াবাড়ি অঞ্চলের উপপ্রধান পিলু বর্মন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকের নাম লিখে নিয়ে তাদের আশ্বাস দিলে তাঁরা কিছুটা আশ্বস্ত হন। 


বিস্তারিত জানুন ভিডিওতে-