শুক্রবার সকালে উত্তর প্রদেশ স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ)  এনকাউন্টারে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে নিহত । 

মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর একটি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় কানপুরের ডন বিকাশ দুবে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে, তার খোঁজে ভারত-নেপাল সীমান্তে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের বারাইচ জেলার পুলিশ। পাশাপাশি সন্ধান চলছিল অন্য রাজ্যগুলিতেও। আর তাতেই মিলে ছিলও সাফল্য। গতকাল গ্রেপ্তার হয় আটজন পুলিশকর্মীর খুনি বিকাশ। ইউপি এসটিএফের কনভয়টির একটি গাড়ি উল্টে যাওয়ার পরে দুবে  পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল। আর তখনই এনকাউন্টারে আহত হন বিকাশ দুবে। এর পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি বলেছেন, পুলিশ কর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টার সময় বিকাশ দুবেকে তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে বলেন। জবাবে গুলি চালায় সে, পাল্টা গুলিতে খতম হয়। 

কিন্তু অনেকেই এই তত্ত্ব মানতে রাজি নন। সত্যিই কি গুলির লডা়ইয়ে খতম গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে? উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন। 

  • বিকাশকে যে ভৌতি এলাকায় মারা হয়েছে, সেখানেই তার ডান হাত প্রভাত মিশ্রের এনকাউন্টার করে পুলিশ। এলাকা পুরো ফাঁকা। শুধু একটা পাঁচিল অনেকটা দূরে। এমন জায়গায় পালানোর ঝুঁকি নিতে গেল কেন সে?

  • উজ্জ্বয়িনীতে মহাকালের মন্দিরে সাধারণ গার্ডরা তাকে ঘিরে ফেললে সে তৎক্ষণাৎ আত্মসমর্পণ করে। অথচ এসটিএফ কম্যান্ডোরা তাকে ধরতে পারলেন না? পালানোর চেষ্টাই যখন করল, প্রথমেই ধরা দিল কেন?

  • মধ্য প্রদেশের উজ্জ্বয়িনী থেকে উত্তর প্রদেশ আসা পর্যন্ত গোটা রাস্তাটা বিকাশের গাড়ির পিছনে ছিল সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি। অথচ ঠিক দুই রাজ্যের মধ্যে ঝাঁসি সীমানায় জাতীয় সড়কের ওপর ১ ঘণ্টা সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি আটকে রাখা হয়।

  • বিকাশের গাড়িতে ৫ পুলিশ কর্মী ছিলেন। তার পাশে বসে, সামনে বসে। তাঁদের সকলের সামনে দিয়ে রমাকান্ত তিওয়ারি নামে এক পুলিশ কর্মীর হাতিয়ার ছিনিয়ে পালানোর সাহস কী করে দেখাল সে?

  •  তার হাতে হাতকড়া পরানো ছিল না কেন?

  • অপরাধী পালানোর চেষ্টা করলে তার বুকে গুলি করা যাবে না, শরীরের নিম্নাংশ গুলি করা উচিত। বিকাশের বুক তাহলে ৩টে গুলি লাগল কেন?

  • বিকাশের পায়ে চোট ছিল, পা টেনে চলত সে। এরপরেও পুলিশের সামনে দিয়ে ২০০ মিটার দৌড়ে পালাল কী করে?

এই সব প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে অনেকেই। আর, তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা।