কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন গতকাল চিকিৎসা নির্দেশিকা শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেন। নেশা দ্রব্য বস্তু ব্যবহারের ফলে শারীরিক ব্যাধি এবং আচরণগত আসক্তির মতো রোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বই প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।


অ-সংক্রামক ব্যাধি যেমন, হৃদরোগ, ক্যান্সার, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে মানসিক আঘাতের মতো রোগের সঙ্গে মাদক ব্যবহারের ক্ষতিকারক যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, জুয়ো খেলা, ঘন ঘন কেনাকাটা করা, সাইবার সম্পর্ক, সাইবার যৌন আসক্তি, পর্ণোগ্রাফি দেখা, অনলাইন গেম খেলা-সহ নানাবিধ বিষয়ে সাধারণত আচরণগত আসক্তির সঙ্গেই জড়িত। এই রোগের চিকিৎসার জন্য একটি গুণমানসম্পন্ন চিকিৎসা নির্দেশিকার প্রয়োজন রয়েছে। তাই, এই বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে নেশার সামগ্রী ব্যবহারের ফলে শারীরিক ব্যাধি এবং আচরণগত আসক্তির মতো বিষয়গুলি চিকিৎসার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের বিশ্ব মাদক বিরোধী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড ১৯- এর আগে এই সকল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন কারণে ভুগতেন এদিকে এখন আর্থিক মন্দার ফলে নেশা দ্রব্য, মাদকের ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। ধূমপায়ীদের মধ্যে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। এমনকি, অ্যালকোহলের নেশাগ্রস্থদের এই সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে। কারণ এগুলির জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে বলেই জানান তিনি।

শারীরিক ব্যাধি ও আচরণগত আসক্তির মোকাবিলায় চিকিৎসকদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এই নির্দেশিকাটি তৈরি করেছে। দেশকে সুস্বাস্থ্য, সুখ এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই বইটির বিষয়ে আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচার করা হবে বলেও জানান তিনি। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে। গণমাধ্যমগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এই মাদকাসক্তি এবং আচরণগত আসক্তি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

এদিনর এই অনুষ্ঠানে আধুনিক সমাজে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এবং তাদের সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের বিশেষ আধিকারিক শ্রী রাজেশ ভূষণ, স্বাস্থ্য সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরাও।