পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ 

করোনা পরিস্থিতিতে মহামারীর মোকাবিলা বা আমফানের মোকাবিলা অথবা অসহায় মানুষ থেকে শুরু করে পৌরনাগরিকদের সুবিধার্থে তাদের পাশে থেকে অবিচল ভাবে কাজ করে চলেছে গঙ্গারামপুর পৌরসভা। যে কথা বারবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। পৌরসভার উন্নয়নের স্বর্ণ মুকুটে নতুন করে অনেক পালক সংযোজন হয়েছে। পৌরসভার প্রশাসক ও প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা সকলের পাশে থেকে দিবারাত্রি ক্লান্তিহীন ভাবে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। নতুন সাজে এখনো সাজছে দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা।

পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডেই তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তাঘাট, জলনিকাশি ব্যবস্থা বিভিন্ন সৌন্দর্যায়নের কাজও করেছে ও করছে পুরসভা। সবমিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর শহর।

পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পানীয় জল, নিকাশিব্যবস্থা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি, পাকা রাস্তাঘাট, সভেপার আলো, রাস্তায় রাস্তায় হাই মাস্ট আলো গোয়ালখাঁড়ি শশ্মানে বৈদ্যুতিক চুল্লি, আধুনিক স্টেডিয়াম, বিশ্ববাংলা প্রতীকী তোরণ ফোয়ারা,খেয়াঘাটের জন্য বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি আরো অনেক কিছুর কাজ চলছে। পুরসভার নানান উন্নয়নমূলক কাজে খুশি হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে গঙ্গারামপুরবাসীদের। উন্নত ও আধুনিক বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন মানুষ। 

পর্যটকদের আকর্ষণ করার লক্ষ্যে গঙ্গারামপুরের কালদিঘি পার্কেরও সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। কালদিঘির পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় টয়ট্রেনের মত ট্রেনও চলছে। এই পার্কে থাকা টুরিস্ট লজটিরও সংস্কার করেছে পুরসভা। এছাড়াও ঐতিহাসিক বানগড়কেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। 

স্বল্প খরচে বাসষ্ট্যান্ডে রাত্রিযাপনের জন্য পুরসভার তরফে অতিথি আবাস চালু করা হয়েছে। পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ইন্দ্রনারায়নপুর মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে যা শুধু মাত্র উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে নতুন চেহারায় ধরা দিয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভা এলাকা আরও হয়েছে আধুনিক ও ঝাঁ-চকচকে। 

গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্যোগে ও বর্তমান(তৃণমূলের) পুরসভার প্রশাসক অমলেন্দু সরকারের একান্ত চেষ্টায় ও উন্নয়নের ধারায় নানান উন্নয়নমূলক কাজ ও এতকিছু পেয়ে বেজায় খুশি এলাকাবাসীরা। 

অন্যদিকে পুরসভার প্রশাসকের এহেন উদ্যোগে ও উন্নয়নমূলক কাজে জেলার বিভিন্ন মহলের একাংশরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বিশিষ্ট মহল জানাচ্ছে,  ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েতের কয়েকটি মৌজা নিয়ে তৈরি হয়েছিল গঙ্গারামপুর পুরসভা। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল বামফ্রন্ট সরকার। একাধিক উন্নত পরিষেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলেন পুরনাগরিকরা। তবে তার কোনওটারই বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৫ সালে পুরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরনাগরিকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন সরকার। দীর্ঘ ২১ বছরে বামেরা যা করতে পারেনি, মাত্র তিন বছরেই তা করে দেখিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকার।