Representational Image

কেরালার মালাপ্পুর জেলায় গর্ভবতী একটি হাতিকে বন্য শুয়োরের ফাঁদ হিসাবে ব্যবহৃত আতশবাজি  ভরা আনারস খাওয়ানোয় মুখে বাজি ফেটে নদীতে দাঁড়িয়েই মারা যায়। আতশবাজি ভরা আনারস খাওয়ার পর মারাত্মক যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে হাতিটি। তারপরই ঘটে বাজির বিস্ফোরণ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় দেশজুড়ে।
মর্মাহত বন বিভাগের অফিসার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি জানিয়ে লেখেন,"মুখে বাজি ফাটার পর তার মুখ-জিভ জ্বলে গিয়ে গুরুতর আহত হয় সে।" তারপর হাতিটি দৌড়ে একটি নদীতে নেমে পড়ে। সেখানে শুঁড়ে করে জল মুখে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু খানিক স্বস্তি মিললেও তাতে কোনও লাভ হল না।

দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহত হাতিটিকে উপকূলে উদ্ধার করে আনতে বন কর্মকর্তারা আরও দুটি হাতি নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ১৫ বছর বয়সী গর্ভবতী হাতিটি ভেলিয়র নদীর জলে দাঁড়িয়েই মারা গেল।

প্রকৃতির সাথে বিরূপ ব্যবহারের ফল মানুষ ভোগ করছে। আজ ভারতে নিসর্গ আসছে সবাই ভীত সন্ত্রস্ত। তারই মধ্যে মর্মান্তিক ঘটনা সবার সামনে আসছে।

কেরলের Silent valley national park এর একটি ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতি Malappuram এর একটি গ্রামের কাছে চলে আসে খাবারের সন্ধানে। সেখানে গ্রামবাসীরা তাকে একটা আনারস খেতে দেয় । অবলা প্রাণীটা সেটি খেয়েও নেয়। আনারসটির ভেতরে ছিল বারুদ ভর্তি। খাওয়া মাত্রই বাজি গুলো তার মুখে ফেটে যায়। রক্তাক্ত হয়ে ওঠে সারা মুখ।

হাতিটি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হাতিটির মধ্যে একটা 6th সেন্স কাজ করেছিল। সে জানতো তার মৃত্যু আসন্ন। শুঁড় সহ গোটা শরীর রক্তময়, যন্ত্রণায় জ্বলছিল সারা দেহ। এই অবস্থায় সে তার সন্তানের কথা ভেবে চলে যায় নদীর মাঝে জলের মধ্যে যাতে সেই রক্তাক্ত জায়গায় পোকা-মাকড় না বসে। যতক্ষণ প্রাণ ছিল সে চেষ্টা করেছিল যাতে তার সন্তানের কষ্ট একটু হলেও কম হয়।

নিজের সন্তানের কথা ভেবে সেই রক্তাক্ত শরীর নিয়েই ছুটে বেড়ায় সারা গ্রাম একটু খাবারের খোঁজে। শেষ অবধি সে খাবার পায়নি আঘাত ও করেনি কোনো গ্রামবাসী কে, ভাঙেনি কোনো ঘর। সোজা চলে এসে মাঝ নদীতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত। বহু চেষ্টাতেও তাকে সরানো যায়নি সেখান থেকে।

আর শেষ অবধি সে ওই মাঝ নদীতেই প্রাণ ত্যাগ করে। 

এই ঘটনায় পুরো দেশ স্তম্ভিত। কোনো বিচার বা শাস্তি কি এই অমানবিক ঘটনার মূল্য চোকাতে পারবে?