সুরশ্রী রায় চৌধুরী ঃ 

লকডাউনের আগে থেকেই রাজ্যে রাজ্যে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পরে চার দফার লকডাউন এবং এখন আনলক ওয়ানেও খোলেনি কোনও স্কুল-কলেজ। এই পরিস্থিতিতে অনেক বেসরকারি স্কুলই পড়ুয়াদের অন লাইন ক্লাস নিচ্ছে। শুধু স্কুলেই নয়, নাচ, গান, আবৃত্তি সবই অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েদের ঘণ্টাখানেক সময় ধরে অনলাইন ক্লাস নেওয়া ঠিক নয় বলে অনেকেই বলেছেন। কিন্তু তার পরেও দেশে সব রাজ্যেই তা চলছে। এই নিয়ে বিতর্ক ও সৃষ্টি হচ্ছে। যে সব অবিভাবকদের কম্পিউটার, লাপটব বা স্মার্টফোন নেই তারা চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। 

লক ডাউনে স্কুলের ফিবৃদ্ধি নিয়ে গত চার মাস আগেই শিক্ষা দফতর লিখিত ভাবে জানিয়েছিল স্কুল যাতে এ বছর ফি বৃদ্ধি না করে। শিক্ষা মন্ত্রীর এই বিজ্ঞপ্তির পর ও কিছু ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ফিবৃদ্ধির সাথে সাথে স্কুল বাসের ও ভাড়া বাড়িয়েছে। এরকমই স্কুল দমদম সেন্ট মেরীর নাম শিরোনামে এসেছে। জি ডি বিড়লাও স্কুল ফি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্কুল বাসের ও ভাড়া বাড়িয়েছে। সেই নিয়ে আজ বিক্ষোভও হয়েছে কিন্তু সমাধান হয়নি । স্কুল কর্তৃপক্ষ আগামী মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানাবে বলছে। 

কিন্তু কর্নাটক প্রথম এই অনলাইন ক্লাসের বিরোধিতা করে। কর্নাটক সরকার জানিয়ে দিল পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লাইভ অনলাইন ক্লাস নেওয়া যাবে না। এই প্রথম কোনও রাজ্য তা নিষিদ্ধ করল। শুধু তাই নয় ই-স্কুলের জন্য টাকাও নিতে পারবে না বেসরকারি স্কুল। কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, খুব শিগগির এনিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। সেটা অভিভাবক, শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তবেই ঠিক করবে শিক্ষা দফতর। উল্লেখ্য, এর আগেই ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ নিউরোসায়েন্সেস জানায় ভার্চুয়াল ক্লাস ছ’বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়।

সেকথা উল্লেখ করে সুরেশ কুমার বলেন, “বিশেষজ্ঞরাও বলছেন ছ’বছর পর্যন্ত শিশুদের প্রতিদিন এক ঘণ্টার বেশি সময়ের অনলাইন ক্লাস স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।” আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেন সুরেশ কুমার। তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাস সমাজের মধ্যে দু’টি ভাগ তৈরি করে দিচ্ছে। যাদের সামর্থ্য রয়েছে আর যাদের নেই তাদের মধ্যে ফারাক তৈরি হচ্ছে। 

কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, খুব শিগগির এনিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। সেটা অভিভাবক, শিক্ষক, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তবেই ঠিক করবে শিক্ষা দফতর।