UNION HRD MINISTER VIRTUALLY RELEASES “INDIA RANKINGS 2020” FOR HIGHER EDUCATIONAL INSTITUTIONS IN NEW DELHI

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী রমেশ পোখরিয়াল ‘নিশাঙ্ক’ গতকাল ভারতের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির চলতি বছরের INDIA RANKINGS 2020 প্রকাশ করেছেন।  এবার নিয়ে পরপর ৫ বার দেশে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা প্রকাশ করা হ’ল।


৫টি মাপকাঠির ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কাজকর্মের অগ্রগতি অনুযায়ী, এই ক্রমতালিকা তৈরি করা হয়েছে। শ্রী নিশাঙ্ক ১০টি শ্রেণীতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ক্রমতালিকা প্রকাশ করেন।

যে ৫টি বিষয়কে বিবেচনায় রেখে এই ক্রমতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেগুলি হ’ল – শিক্ষা, শিক্ষণ ও সম্পদ; গবেষণা ও পেশাদারিত্ব মনোভাব; স্নাতক স্তরের ফলাফল; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিস্তার ও গ্রহণযোগ্যতা এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে মৌলিক ধারণা।


শ্রী নিশাঙ্ক বলেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির এই ক্রমতালিকা ছাত্রছাত্রীদেরকে তাঁদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় দিশা দেখাবে। সেই সঙ্গে, উচ্চ প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের পঠন-পাঠনের মান বাড়াতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে, তা মেটাতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ক্রমতালিকা প্রকাশ প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে আরও প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রমতালিকায় আরও ওপরে উঠে আসতে সাহায্য করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণী বিভাগে দেশের প্রথম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সপ্তম স্থান পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে প্রথম ১০ – এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। এই প্রতিষ্ঠান ক্রমতালিকায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভাগে আইআইএম কলকাতা তৃতীয় স্থানে এবং আইআইটি খড়্গপুর পঞ্চম স্থান পেয়েছে। সাধারণ এগ্রি কলেজগুলির শ্রেণী বিভাগে কলকাতার সেন্ট জেভিয়াস কলেজ সপ্তম স্থান এবং হাওড়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির অষ্টম স্থান পেয়েছে। স্থাপত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ক্রমতালিকায় দেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে আইআইটি খড়্গপুর।


উত্তরবঙ্গের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই র‍্যাঙ্কিংএ জায়গা প্রথম দুটো লিস্টে না পেলেও তৃতীয় পর্যায়ের র‍্যাঙ্কিং এ  স্থান পেয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দিলীপ সরকার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মনিটরিং কমিটির অধীনে এনআইআরএফ একটি সমীক্ষা চালায় যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো কি অবস্থায় রয়েছে।সেই মতই আমরা অংশগ্রহণ করি।তাতে প্রথম পর্যায়ে ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গা পাইনি। এরপর ১৫১ থেকে ২০০পর্যন্ত একটি র‍্যাঙ্কিং হয় সেখানে আমরা জায়গা পাই।"


এক্ষেত্রে কারণ হিসাবে তিনি জানান- "আসলে গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে আছে।এছাড়া অনেক কাগজপত্র না থাকায় আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। তবে তাতে আমরা আশাহত হয়নি।কারণ প্রথমবার আমরা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছি।তাই এই ফলাফলেও আমরা খুশী।"