করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশ জুড়ে জারি হয় লক ডাউন। লক ডাউনের ফলে মানুষের জনজীবনে ব্যাঘাত হয়েছে তেমনি ব্যাঘাত ঘটেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাতেও। বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার দানা বেঁধেছে। 

লকডাউনের জেরে শিক্ষাগত ক্ষতি ও সে ব্যাপারে ঠিকমত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এপ্রিলে ইউজিসি দুটি কমিটি তৈরি করে। একটির নেতৃত্বে হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর সি কুহাদ। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি দেখতে ও বিকল্প অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করতে। দ্বিতীয় কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ইগনু-র উপাচার্য নাগেশ্বর রাও। দ্বিতীয় কমিটির দায়িত্ব ছিল অনলাইন শিক্ষার মানোন্নয়নের পরামর্শ দেওয়া। এই দুই প্যানেলের পরামর্শ অনুযায়ী মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ২৯ এপ্রিল জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা করে।

এ বছর জুলাইতে হওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা করোনার জেরে বাতিল হয়ে যেতে পারে এমনি আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ লক ডাউন চালানোর পরেও করোনাকে বাগে আনা যায়নি। আর তাই এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর ভাবনা চলছে। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হতে পারে । কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনকে এমনি নির্দেশ দিয়েছেন। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ইউজিসি-কে ইন্টারমিডিয়েট ও টার্মিনাল সেমিস্টার পরীক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন, একই সঙ্গে নতুন করে তৈরির কথা বলেছেন অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার। 

মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ইউজিসি-কে ইন্টারমিডিয়েট ও টার্মিনাল সেমিস্টার পরীক্ষা সংক্রান্ত গাইডলাইন ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে নতুন করে তৈরির কথা বলেছেন অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার। শোনা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে একটি প্যানেল তৈরি হয়েছে, তার মাথায় রয়েছেন হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর সি কুহাদ। এক সপ্তাহের মধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন ঘোষিত হতে পারে। তবে তাতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকশিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে।

বিশেষজ্ঞ কমিটি মনে করছে, জুলাইয়ে যে চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, করোনার জেরে তা বাতিল করতে হবে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের পরীক্ষাগুলিতে পড়ুয়াদের ফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার নম্বর দিতে হবে। যে পড়ুয়ারা এই পদ্ধতিতে খুশি নন, তাঁরা অতিমারীর প্রকোপ কমে গেলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। আগে থেকেই ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের জন্য নয়া শিক্ষাবর্ষ চালু হওয়ার কথা ছিল অগাস্ট থেকে, নবাগতরা আসতেন সেপ্টেম্বর থেকে। তাও পিছিয়ে অক্টোবর করে দেওয়া হয়েছে। তবে নয়া যে গাইডলাইনই ইস্যু হোক,করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তা তৈরি হবে।