বুধবার নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের আগ্রাসনের ক্ষেত্রে তা মোকাবিলা করতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিল কেন্দ্র। শান্তি বজায় রাখার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা করা হলেও সীমান্তে ভারতের এলাকায় চিনের কোনওরকম প্রবেশ ও আগ্রাসন মেনে নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল ভারত। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাকে দেওয়া হল অনুমতি।

লাদাখে গালোয়ান উপত্যকায় চিন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তাঁর ৪ মন্ত্রীকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ছিলেন ভারতীয় সেনার চিফ জেনারেল এমএম নারাভানে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমণ। সূত্রের খবর, সীমান্তের উত্তেজনা, পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপ, সেনাবাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা করেন তাঁরা।

সেনা স্বাধীনতা পাওয়ায় এবার সীমান্তের ছবিটা বদলে যাবে, চিন যদি সেনা না সরায়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে বলে মনে করছেন কর্নেল পৃথ্বীরঞ্জন দাস। সেনাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া দরকার ছিল। সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা পাওয়ায় এবার সীমান্তের ছবিটা বদলে যাবে। দু’পক্ষের হাতেই অস্ত্র থাকায় সংঘাত বাড়তে পারে, মত ব্রিগেডিয়ার প্রবীর স্যান্যালের। সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই হামলা চালায় চিন। সীমান্ত থেকে সেরা সরানো হচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে। চিন যদি সেনা না সরায়, তাহলে পরিস্থিতি জটিল হবে, মত কর্নেল পৃথ্বীরঞ্জন দাসের।