সুজাতা ঘোষ , বাগডোগরা:

'একটি গাছ একটি প্রাণ' সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বোধ জাগিয়ে তুলতে প্রতিবছর ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসাবে পালিত হয় । পরিবেশের প্রতি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম জাতিসংঘের দ্বারা পালিত হয়েছিল এই দিনটি। প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটির জন্য একটি করে থিম রাখা হয় ;‌এবছর কলম্বিয়া বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ভাবনায় রেখেছে জীববৈচিত্র্য।

' জীববৈচিত্র্য' এমন থিম রাখবার কারণ কি? অতীতের পাতা উল্টালে বোঝা যায় যেখানে একটা সময় পৃথিবী ছিল স্বচ্ছ ও চারপাশে সবুজের সমারোহ , সেখানে আজ পৃথিবীর শরীর জুড়ে শুধুই প্লাস্টিক। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলেন -পৃথিবী বৈচিত্র্যময় ,বহু বৈচিত্রের মধ্যেই প্রত্যেকের লড়াই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা আর নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে হলে দরকার ইকোসিস্টেম ঠিক রাখা কিন্তু বর্তমানে সেই ইকোসিস্টেমে ধরেছে ভাঙ্গন ।বহু প্রজাতির জীব আজ বিলুপ্ত । আবার অনেক প্রজাতির জীব বিলুপ্তের পথে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে এবছর পরিবেশ দিবসের ভাবনায় রেখেছেন জীববৈচিত্র্য। আয়োজক দেশ কলম্বিয়ার পক্ষ থেকে জানা গেছে প্রায় ১০ লক্ষ জীব আজ বিলুপ্তির পথে ।‌ মনে রাখতে হবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জীব বৈচিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম । তাই জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে এমন থিম রাখেন কলম্বিয়া। 

আবার অন্যদিকে বারবার একটা প্রশ্ন উঠে আসে বিজ্ঞানের সুফল ও কুফল নিয়ে ; এই সম্পর্কে জেনেও কিন্তু মানুষ নিজের স্বার্থে একের পর এক প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে চলেছে , বনজঙ্গল কেটে অট্টালিকা গড়ে তুলছে, বড়‌ বড় কারখানা তৈরি করছে , জলদূষণ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম দূষণ ঘটিয়ে পরিবেশ এখন পূর্ণভাবে দূষিত ‌। এই প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক অর্থাৎ মানুষ ও পরিবেশ পৃথিবীর অঙ্গ। তাই পৃথিবীকে বাঁচাতে এখন থেকেই মানুষের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষের উচিত নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পরিবেশ রক্ষা করা; সুস্থ পৃথিবী গড়ে তোলা। তাই পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলতে , করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে ঠেলে পরিবেশ রক্ষায় হাত বাড়ালেন খোকন দাস ও তার মেয়ে তনুশ্রী দাস।

আজ সকাল থেকেই বাবা ও মেয়ে নিজেদের এলাকার ফাঁকা জায়গা গুলোতে ছোট ছোট চারা গাছ লাগান এবং একটি আম গাছের চারা প্রদান করেন গাজল থানায়। থানার পক্ষ থেকে হাসিমুখে সেই গাছ গ্রহণ করেন এসআই নিরঞ্জন মুখার্জী ।জানা গেছে তাদের এই প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।