করোনা আবহে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন পরিস্থিতি।মার্চ মাসের প্রায় মাঝামাঝি থেকে বন্ধ সমস্ত স্কুল কলেজ। দেখতে দেখতে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে। সর্বশেষ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমতাবস্থায় শিক্ষা ব্যবস্থার হাল কি হবে বলে মুশকিল। যদিও লকডাউনের পরে স্কুলগুলি কীভাবে চালু করা যাবে সেবিষয়ে এখনই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি রাজ্যও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কিভাবে চালু করা যায় পড়াশুনা।

জানা গেছে, জেলার কয়েকজন প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করেছে শিক্ষা দপ্তর। বিদ্যালয় চালু হলে কিভাবে তা পরিচালনা করা যায়, কি করা যায়, কবে থেকে খোলা যায় এনিয়ে জেলা ও কলকাতার বেশ কিচু স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সাথে আলোচনার পাশাপাশি প্রস্তাবিত খসড়ার কথাও জানানো হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও খসড়া তৈরি করছে বলে জানা গেছে। 

নিউজ ১৮ বাংলা সূত্রে খবর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এক বিবৃতিতে জানান, করোনা শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় সারা বিশ্বেই চলছে, যা অতিথি নয় কবে যাবে জানা যাচ্ছে না। আমাদেরকে করোনা নিয়েই থাকতে হবে। তবে, করোনাকে মানিয়ে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। স্কুল খুললে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজেশন, আসবে কি করে, বাড়িতে কি করে থাকবে এবিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা দরকার। পাশাপাশি, স্কুল খুললে যেমন ছাত্র ছাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব, বিধি নিষেধ বোঝাতে হবে তেমনি স্কুল স্টাফদেরও বুঝতে হবে। ছাত্র- ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও অনেকেই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। অনেকের বাড়িতে টেলিভিশন নেই নেই মোবাইলও। 

তিনি আরও বলেন, নবম- দশম, একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্লাস বেশি প্রয়োজন। এদেরকে ধাপে ধাপে ডাকতে হবে। এক কথায় ঢেলে সাজাতে হবে স্কুল গুলিকে । পরিকাঠামো গত সমস্যার জন্য অনেক স্কুলে হয়তো সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাস করানো মুশকিল হবে, বাচ্চাদের বোঝাতে হবে, এভাবেই করোনাকে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। 

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বরে স্কুল গুলো খোলা সম্ভব নয় এর জন্য অনলাইন ক্লাস করে এগিয়ে যেতে হবে। 

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরামর্শে স্কুল খোলার ব্যাপারে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিংয়ের আধিকারিকরা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। যে গাইডলাইনে বলা হয়েছে:

১) সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে স্কুলগুলিতে রাখতে হবে ৩০% ছাত্রছাত্রী।
২) লকডাউন পরবর্তীতে স্কুল চালু হলেও আয়োজন করা যাবেনা কোনো সেমিনারের।
৩) আপাতত কোনো প্রার্থনা সভা করা যাবেনা।

যদিও ৩০% ছাত্রছাত্রী নিয়ে কীভাবে করা হবে ক্লাসের ব্যবস্থা সেটা নিয়ে এখনো বিশদে কিছু বলেনি কোনো পক্ষই। নয়া গাইডলাইন প্রকাশ পেলেই সব বিষয় স্পট হবে। 

ফেসবুক পেজটি লাইক করে আমাদের সাথে থাকুন-