করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে চলছে লক ডাউন। লক ডাউন চললেও দিন যতই গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে সংক্রমণের হার। আর পরিস্থিতি সাপেক্ষে বেড়েই চলছে লক ডাউন। এর জেরেই সমাজের দুঃস্থ- অসহায় মানুষের সাথে সাথে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা সমস্যায় পড়ছে। কাজ- কর্ম বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেনির মানুষ পেটের জ্বালায় কাতরাচ্ছে। সেই তালিকায় ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মানুষেরা, গৃহশিক্ষক, নার্সারি স্কুলের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীসহ আরও অনেকে। 

লক ডাউন এর ফলে বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গৃহ শিক্ষকদের আর্থিক সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে মাসিক ভাতা চালুর দাবি তুলল মুর্শিদাবাদের UNAIDED PUBLIC SCHOOL ASSOCIATION(UPSA)। এদিন মাসিক ভাতা চালুর দাবি নিয়ে একটি প্রেস মিটের আয়োজন করেন তাঁরা। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গৃহ শিক্ষকদের সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য দাবি তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি গৃহশিক্ষক, নার্সারি স্কুলের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী মাসিক ভাতা ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হোক। এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এজাজ আহমেদ,মতিউর রহমান, মোঃ আনিকুল মিঞা, আজমেরুল সেখ, আনুয়ার হোসেন প্রমুখ।

UNAIDED PUBLIC SCHOOL ASSOCIATION(UPSA) -এর সম্পাদক এজাজ আহমেদ জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমাদের রাজ্য সরকার ১৫ই মার্চ সমস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করার নির্দেশিকার জারি করে। এর ফলে সমস্থ সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন ১৫ই এই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হলেও পর্যায়ক্রমে তা বেড়েই চলেছে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তার উত্তর আমাদের কারোও কাছে জানা নেই। লক ডাউনের জন্য অভিভাবকগন মাসিক ফি দিতে পারছেন না, যার ফলে স্কুল মালিক গুলো শিক্ষক-শিক্ষিকাগন ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দিতে পারছেন না। শিক্ষকগন করুন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করতে হচ্ছে। ফলে তাদের জীবনের দৈনন্দিন সঙ্কট ও অনিশ্চয়তা বহু গুনে বাড়তে চলেছে। এখন তাদের কোনো উপার্জন নেই,কিন্তু খরচ আছে। তাদের মধ্যে কেউ না পারছেন ত্রাণের জন্য কোথাও লাইনে দাঁড়াতে, না পারছেন কোনও সঞ্চয় ভাঙিয়ে খেতে। এমনকি অনেকের শেষ সম্বলটুকু হারাতে বসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে UNAIDED PUBLIC SCHOOL ASSOCIATION ছোট খাটো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের করুন অবস্থা জানিয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে আর্থিক অনুদানের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারন ভয়ঙ্কর সঙ্কটে রয়েছে রাজ্যের কয়েক লক্ষ গৃহ শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্ধ। আমাদের দিদি বলেছিলেন লক ডাউনে কেউ না খেয়ে মরবে না। তাই আমাদের দাবি এই সমস্ত গৃহশিক্ষক, নার্সারি স্কুলের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী মাসিক ভাতা ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হোক।