করোনার দাপট সারা দেশে। দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণের তথ্য লুকানোর অভিযোগ রয়েছেই। রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত দেখা গিয়েছে এনিয়েও। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য লুকানোর অভিযোগ ছিল বিরোধী রাজনৈতিক মহলেরও। এদিকে কেন্দ্র সরকার দেশকে রেড, অরেঞ্জ ও সবুজ তিনটি জোনে ভাগ করে করোনা দমনে নেমে পড়েছে। তথ্য লুকানোর সাথে সাথে জোন বিভাজন নিয়েও কেন্দ্রের সাথে রাজ্যের অমিল চোখে পড়ছে। আর তাতেই বেশ উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। 

রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশ অনুযায়ী রাজ্যে রেড জোনে রয়েছে ৪ জেলা কিন্তু সদ্য কেন্দ্র সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ১০টি জেলাকে রেড জোনে রাখা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদানের  চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্র সংক্রমণের হার, কতদিনে সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসছেন, তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও এলাকাকে পুরোপুরি সংক্রমণমুক্ত ঘোষণা করতে গেলে মানতে হবে কেন্দ্রের গাইডলাইন। একতরফাভাবে রাজ্য কোনও এলাকাকে গ্রিন জোন ঘোষণা করতে পারবে না। 

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ২১ দিন কেউ আক্রান্ত না হলে তবেই সেই এলাকাকে গ্রিন জোন বলা যাবে। তবে অরেঞ্জ অথবা রেড জোন চিহ্নিত করতে পারবে রাজ্য নিজেই। রাজ্য স্থানীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করে আরও এলাকা যুক্ত করতে পারে। কিন্তু এই তালিকা থেকে কোনও এলাকা বাদ দিতে পারবে না।
যদিও রাজ্যের দাবি, পশ্চিমঙ্গে মাত্র ৪টি জেলা রেড জোনে। সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের তরফে পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব বিবেক কুমার। চিঠিতে তালিকা ঠিক করে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে।

এনিয়ে বিভ্রান্ত মানুষ। কেন্দ্রের রিপোর্টে ভরসা করবে নাকি রাজ্যের রিপোর্টে ? এতেই শেষ নয় রাজ্যের প্রকাশিত রিপোর্ট ও কেন্দ্রের প্রকাশিত রিপোর্টে মিলছে না আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যাও। অনবরতই রাজ্যের রিপোর্টে সংখ্যা কম ও কেন্দ্রের রিপোর্টে সংখ্যা বেশি। 

এই সব হিসাবে তালগোলে পরে বিভ্রান্ত মানুষ। কে সঠিক আর কে ভুল? কাকে মানবে-রাজ্য নাকি কেন্দ্রের রিপোর্ট? কতটা নিরাপদে সে নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।