সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষই এক মাসের বেশি গৃহবন্দি। এই গৃহবন্দি মানুষদের মনোরঞ্জনের জন্য রামানন্দ সাগরের রামায়ণ নতূন করে মানুষকে আকর্ষণ করছে।
প্রথমবার ১৯৮৭-র জানুয়ারি থেকে ১৯৮৮-র ৩১ শে জুলাই পযর্ন্ত চলছিল রামায়ণ। প্রতি রবিবার সকাল সাড়ে নটা বাজলেই সকলে টিভির সামনে বসে পড়তো। সেই সময় সকলের বাড়িতে টিভি ও ছিল না তাই প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়েই দেখতেন রামায়ণ। পৌরাণিক ধারাবাহিক টি জনপ্রিয়তার আসনে শীর্ষ ছিল।
৩৩ বছর পরও ফের শীর্ষস্থান বজায় রাখলো রামায়ণ। সারা বিশ্বের সব চেয়ে বেশি দর্শক দুরদর্শনের পর্দায় চোখ রাখছে রামায়ণ দেখার জন্য।
শুধু ১৬ই এপ্রিল একদিনের দর্শক ছিল ৭.৭ কোটি। লক ডাউন এ দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল মানুষের জীবন। মানুষের জীবনে একটু স্বস্তি ফেরাতে ২৮ মার্চ থেকে রামায়ণের পুণঃসম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আর এই ধারাবাহিক এত বেশি দর্শক দেখছেন যে, ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)-র তথ্য অনুযায়ী, দূরদর্শনও হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বেশি দেখা চ্যানেল।
এখন রামায়ণ প্রত্যেকদিন দুবার করে সম্প্রচারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৮০-র দশকের শেষদিকে সম্প্রচারের সময় এই সিরিয়ালের দর্শক সংখ্যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ছিল বলে দাবি।
Social Plugin