প্রতীকী ছবি 

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর জেরে দেশজুড়ে লকডাউন । সমাজের বিভিন্ন স্তরের দুর্দশা কবলিত মানুষের প্রতিনিধি কোচবিহার জেলার শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট এর গৃহশিক্ষকরাও । 

যোগ্যতাসম্পন্ন বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীনতাকে ঘোচাতে গৃহশিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন । সমাজের উচ্চ অভিজাত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা আখের ভাঙিয়ে দিন গুজরান করছেন । সামর্থ্যহীনরা সরকারী-বেসরকারি সাহায্য পেয়ে কোনওরকমে খেয়েপরে দিন কাটাচ্ছেন । এমনকি লকডাউন এ কিছু ক্ষেত্রে সরকারী ছাড়-এ অনেকেই যেনো হা-ভাতে মুহূর্তে হাতে পরশপাথর পেয়ে গেছেন , যা অবশ্যই ভালো দিক । কিন্তু সামাজিক মূল্যবোধকে সঙ্গী করে শিক্ষিত সচেতন নাগরিক হিসেবে রাজ্য তথা দেশকে করোনা মুক্ত করতে দায়বদ্ধতার মুকুট মাথায় নিয়ে সকল রকমের কোচিং তথা গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে রীতিমতো আর্থিক দৈন্যদশায় ভুগছেন  রাজ্যের সকল গৃহশিক্ষকদের মতো গোসাইরহাট এর গৃহশিক্ষকরাও । 

গৃহশিক্ষক সমিতির পক্ষে বিপ্লব সাহা জানান- "জাতীয় এই সমস্যা থেকে দেশ করোনা মুক্ত হবে , এই আশা গৃহশিক্ষকরাও আন্তরিকভাবে করে এবং তারা যথেষ্টভাবে সচেষ্টও ।  সেই সঙ্গে তাদের দৈনন্দিন জীবন কীভাবে অতিবাহিত হবে তা নিয়ে তারা রীতিমতো আতঙ্কিত । কিছু গৃহশিক্ষকের তো সম্পূর্ণ সংসারের দায়িত্ব তাদেরই কাঁধে । এই অবস্থায় tuition বন্ধ থাকার কারণে অভিভাবকরাও কতটা সহযোগিতা করবে , সে নিয়েও রয়েছে হাজারো প্রশ্নচিহ্ন । তাই রাজ্য সরকার এর কাছে  আবেদন , যেনো দুর্দশাগ্রস্ত গৃহশিক্ষকরা সরকারের স্নেহার্দ্রসিক্ত হয়ে কোনওরকমে সংসার  প্রতিপালনে সমর্থ হয়।"