সোমবার থেকেই প্রায় সব দোকান খুলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তার মধ্যে অন্যতম মদের দোকান। সুরাপ্রেমী মানুষের ঢল সামলাতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতেই ঢল নেমেছে মদের দোকানে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লী সরকারের অভিনব সিদ্ধান্ত-মদের উপর যুক্ত হলও 'করোনা ফি' । মদের উপর ৭০ শতাংশ করোনা কর বসাতে চলছে দিল্লী সরকার। আর এর ফলেই এক ঢিলে দুই পাখি মারল কেজরিবাল সরকার। এর ফলে মদের দোকানে কিছুটা হলেও ভিড় কম করা সম্ভব। পাশাপাশি রাজস্বের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, “দিল্লী সরকার লকডাউন তুলতে তৈরি। তবে এমতাবস্থায় আমাদের করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে।”
দিল্লীর কন্টেনমেন্ট জোন সিল রেখে বাকি দিল্লির গ্রিন করে দেওয়ারও জন্য কেন্দ্রকে দাবি জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি আরও বলেন, “জোড়-বিজোড় নীতিতে এই রাজ্যে দোকান খোলা যেতে পারে। এমনকি লকডাউন পুরো তুলে নেওয়ার পরেও যদি কিছু সংক্রমণ হয়, তা ভালভাবে সামলাতে আমরা তৈরি।”
কেন্দ্রের কাছে লকডাউন তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেজরিওয়ালের আবেদন, “মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে এখনও সফল দিল্লি। এখানে প্রচুর পরিমানে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরবর্তী করোনা পরিস্থিতি সামলাতে দিল্লী প্রস্তুত।”
অপরদিকে একই পথে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি রাজ্যে মদের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার মধ্যে ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধির পরে অন্ধ্রপ্রদেশে মদের দাম বাড়াচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের (সিএমও) মতে, করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাজারে দোকানগুলির বাইরে দীর্ঘ লাইন ও ভিড় এড়াতে মদের দাম বাড়ানো হয়।
এমনিতেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে দেদার মদ বিক্রি হয়। দীর্ঘদিন লকডাউনের পর দোকান খুললে ভিড় এতটাই হয় যে সামাজিক দূরত্ব থেকে সমস্ত নিয়ম ভেঙে যায়। এই ভিড় আটকাতে এই উদ্যোগ নিল সরকার।