সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ 

করোনা বিপর্যয় মানুষ বিভ্রান্ত। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর এত বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় নি ভারতকে। এই বিপর্যয়ে কি ভাবে মানুষ সামলাবে তা চিন্তার বিষয়। লক ডাউন এ বাজারের অবস্থা খারাপ।বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। সংসার চালানো এখন রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে। এবার নতুন সমস্যা হতে চলেছে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি। 

সামাজিক দূরত্বের কারণে কম যাত্রীকে নিয়ে বাস চালাতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় বাস-মিনিবাস সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বাস ভাড়া ঠিক কতটা হলে বাস চালাতে অসুবিধা হবে না, তা বাস মালিকদের উপরেই ছেড়ে দেন তিনি। 

সেই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নয়া ভাড়ার প্রস্তাব-তালিকা পৌঁছে গেল পরিবহণ দফতরে। সরকারের তরফে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই পথে নামবে বাস-মিনিবাস। তবে, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার বলেছেন, “২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চলবে। মালিকদের যাতে খরচা ওঠে, সে বিষয়টাও দেখতে হবে। যাঁদের বেরতেই হচ্ছে, তাঁদের এটুকু সহযোগিতা তো করতে হবে।”

সরকারি বাস আগেই পথে নেমেছে। এ বার ধাপে ধাপে বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি এবং অটোও পথে নামতে চলেছে। 

একই সঙ্গে তিনি বলেন, “কবে থেকে বাস চালু হবে, সবই ঠিক হবে নবান্ন থেকে।’’

মোটামুটি ভাবে ভাড়া বাড়তে পারে প্রথম ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ২০ টাকা, ৪ থেকে ৮ কিলোমিটার ২৫ টাকা, ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার ৩০ টাকা, ১২ থেকে ১৬ কিলোমিটার ৩৫ টাকা এবং ১৬ থেকে ২০ কিলোমিটার ৪০ টাকা। এমনই ভাড়ার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। 

লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় গ্রিন জোনে বাস চালানোর কথা বলা হলেও, ২০ জন যাত্রী নিয়ে অনেকেই বাস পথে নামাননি। কলকাতা এবং জেলায় বাস চালাতে হলে ভাড়া বাড়াতেই হবে বলে জানান জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। 




বাসের পাশাপাশি চালু হতে পারে অটোও। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, “অটোর ক্ষেত্রে এক জন করে নিয়ে চলতে হবে। ট্যাক্সিচালকেরা দু’জন করে যাত্রী তুলতে পারবেন।”

তবে সেক্ষত্রে ভাড়া বৃদ্ধির হার স্পষ্ট নয়। তবে এ ভাবে ভাড়া বৃদ্বি হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ হবে না।