"মরিতে চাই না আমি এই সুন্দর ভুবনে, বাঁচিতে চাই " - হ্যাঁ এই সুন্দর ভুবন ছেড়ে কেই বা যেতে চায়l 

এই শস্য শ্যামল সবুজ পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার কি নেই, তাই আমরা হাজার যন্ত্রনা থাকলেও এই পৃথিবীর আশা সহজে ছাড়তে চাই না l

কিন্তু পুরোপুরি ব্যতিক্রম এলিজা কার্সন, বয়স কত হবে সতেরো ছুঁই ছুঁই l এ বয়সে আমরা হয়তো স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা শুরু করি, কিভাবে ভালোভাবে বেঁচে থাকবো সেই পথকে বেছে নেই l

কিন্তু এই বিস্ময় কিশোরী বেছে নিয়েছে এক দুঃসাহসিক ভবিষ্যত। 

২০৩৩ সালে নাসার মঙ্গলে মানববাহী মহাকাশযান পাঠানোর প্রজেক্টের প্রথম যাত্রী এলিজা l

২০৩৩ সালে প্রাণহীন লাল গ্রহের বাসিন্দা হতে চলেছে এলিজা, সব ঠিক থাকলে তিঁনিই প্রথম মঙ্গলের মাটিতে পা রাখতে চলেছেন l

যেহেতু মঙ্গলে পৌঁছে গেলে পৃথিবীতে ফিরে আসার সম্ভাবনা খুবই কম তাই এলিজাকে সাক্ষর করতে হয়েছে নাসার চুক্তিপত্রে যেখানে এলিজা কোনোরূপ যৌনতা, বিয়ে বা সন্তানধারণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞাl

কিন্তু এই দুঃসাহসিক দেখিয়ে দিয়েছে এলিজা যার স্বপ্ন ভিন গ্রহে পারি দেওয়া l

সে হিসেবে নিজেকে প্রস্তুতও করে নিচ্ছে এলিজা l ৭ বছর বয়সেই বাবার হাত ধরে স্পেস ক্যাম্পে ভর্তি হয়ে শুরু হয় স্বপ্ন দেখা l ১২ বছরের মধ্যে আলবামা, কানাডার কুইবেক, তুরস্কের ইজামিরে বিভিন্ন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে নিজেকে প্রশিক্ষিত করেছে l

মহাকাশ গবেষণা, ভারহীন হয়ে ভেসে থাকা, পৃথিবীর আবহের বিপরীতে কাজ করার মত কঠিনতম পরীক্ষায় সে উর্ত্তীর্ন l ২০৩৩ সালে এলিজার বয়স হবে ৩২ বছর যা মহাকাশচারি হিসেবে আদর্শ সময়l 

নিজের ভাষা বাদেও পৃথিবীর বহু ভাষায় সমান পারদর্শী যাতে যেকোনো মুহূর্তে পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে l

তাঁর সাহসিকতার মুগ্ধ নাসা l

২০৩৩ সালে এলিজা কার্সন চলে যাবে নীল পৃথিবী ছেড়ে প্রাণহীন রুক্ষ লাল গ্রহের মাটিতে একান্তে, ফেরত আসা আর হবে না জেনেও এগিয়ে চলেছে অদম্য সাহসিকতায় l