সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ

করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার এক মাত্র পথ লক ডাউন। তাই বৃদ্ধি পেয়েছে লক-ডাউনের মেয়াদ! কিন্তু দীর্ঘ লক ডাউনের ফলে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে জনজীবন তাই সকলের আর্জি লকডাউন শিথিল হোক, আবার নিয়ন্ত্রণও বজায় থাকুক। 

প্রধা‌নমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখে বিধিনিষেধ আলগা করার পক্ষে রাজ্য। 

নবান্ন সূত্রের খবর, চতুর্থ দফার লকডাউন কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে হলেও রাজ্যগুলিকে তা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বাড়তি অধিকার দিতে পারে কেন্দ্র। ফলে ১৮ মে’র পর থেকে রাজ্যগুলির নিজস্ব পরিকল্পনা অনেকটা গুরুত্ব পাবে। সে কথা বিচার করে তিনটি বিষয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় নবান্ন। 

প্রথমত স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে, এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় তারা। জুনের প্রথম সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের চিত্র দেখে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ আরও কিছু দিন বন্ধ রাখা হতে পারে। 

দ্বিতীয়ত ফুটপাতের দোকানও এখনই খুলতে দিতে রাজি নয় নবান্ন। কলকাতা শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকার ফুটপাত খুলে দিলে সংক্রমণের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। 

তৃতীয়ত "ভিন্ন রাজ্য থেকে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা আসছেন, তাঁদের ঠিকমত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না।" - এহেন অভিযোগ করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। ফলে ১০৫টি ট্রেন আসতে শুরু করলে জেলায় জেলায় শ্রমিকেরা ফিরবেন। তাঁদের পরীক্ষা করিয়ে বাড়িতে রাখা বা সরকারি নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। 

স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, জুলাইয়ে বৃষ্টি শুরু হলে শুরু হবে ডেঙ্গি সংক্রমণ। তা সামলাতে এখন থেকে প্রস্তুতি দরকার। সেই কারণেই রাজ্য পুরোপুরি ভাবে লকডাউন তুলে দেওয়ারও পক্ষপাতী নয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বাস, অটো চালানোর ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যন্ত্রীর আর্জি করণাকে সঙ্গে নিয়ে সতর্কতার সাথে ধীর গতিতে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা।