নবান্ন অভিযানে নির্যাতিতার মা-বাবার উপর হামলার অভিযোগ, কলকাতা পুলিশের পাল্টা দাবি
কলকাতা, ৯ আগস্ট: আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এক বছর পূর্তিতে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে উত্তেজনার চরমে পৌঁছেছে রাজ্য রাজনীতি। অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে কলকাতা পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, যা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতার মা। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “ইঞ্জুরি যথেষ্ট সিরিয়াস। সিটি স্ক্যান হয়েছে, MRI হবে।” এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “কপালে চোট লেগেছে, ভিতরে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা রয়েছে। পিঠেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, সম্ভবত কোনও ভোঁতা বস্তু দিয়ে।”
নির্যাতিতার মা বলেন, “বাড়ি থেকে বেরনোর পরই পুলিশ আমাদের গাড়ির নম্বর বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে দেয়। ধর্মতলায় ৪-৫ জন পুলিশ ফেলে মারধর করে, ভেঙে দেয় আমার শাঁখা-পলা।” তিনি আরও বলেন “আমি নিরস্ত্র। মেয়ের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। পুলিশ কেন ভয় পাচ্ছে? যদি আমাদের মেয়েকে মেরে ফেলে ফেলুক তবু মেয়ের বিচার না নিয়ে ফিরবো না ।” নির্যাতিতার বাবাও অভিযোগ করেছেন, “আমাকেও লাঠিচার্জ করে আহত করেছে পুলিশ। কোনও আধিকারিক সামনে আসছে না।”
ডিসি পোর্ট হরিকৃষ্ণ পাই বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের তরফে কোনও শারীরিক নিগ্রহ হয়নি।” পুলিশের দাবি, ধস্তাধস্তি হয়নি, এবং লাঠিচার্জের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মেয়েকে মেরেছে, এবার বাবা-মাকেও মারার চেষ্টা করছে পুলিশ।” বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের মাথা ফেটে গেছে পুলিশের লাঠির ঘায়ে, দাবি দলের।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊