বাড়ি ফেরার তাগিদে দেশের নানা প্রান্তের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এবার এই ঘটনায় সরব হলেন বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশের ঘটনায় কিছু বলার নেই। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, পারস্পরিক দোষারোপ না করে সরকার যাঁরা পরিচালনা করছেন তাঁরা মাথা নিচু করে অপরাধ স্বীকার করুন। পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর সীমাহীন নির্মমতা হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই একে একে দুর্ঘটনায় মানুষ প্রান হারাচ্ছে। এরা সম্পদ তৈরি করে। সীমাহীন নির্মমতা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৪ দিনের নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করে কার্যত গোটা দেশের মানুষকে বিপদে ফেলা হয়েছে। ৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে লক ডাউন কার্যকর করলে ওরা থাকবে কোথায়, খাবে কি? সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই? কেন্দ্রও চুপ, রাজ্য চুপ। দেড় মাস পরে ট্রেন চললও তাও দায় চাপানো। কে টাকা দেবে। গাইড লাইন কই? কোথায় কে কবে আসবে লিস্ট আছে? এ দেবে, ও দেবে। প্রত্যেকদিন ফোনে জানতে পারছি, টাকা নেই, খাদ্য নেই, বাংলায় জন্মানো কি আমাদের অপরাধ। কার্যত মানুষের নাগরিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। কত নির্মম ছবি আমরা দেখছি। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য শুরু করেছে রাজনীতি। জিজ্ঞেস করলেই বলবে, কাজ হচ্ছে, ভালো কাজ হচ্ছে। এই অসভ্যতা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। গরীব মানুষের সাথে প্রতরনা করা হচ্ছে। আমাদের শ্রমজীবী মানুষদের রাস্তায় মারা হচ্ছে। এটা কখনই মেনে যায় না। এর চেয়ে বড়ো অপরাধ হতে পারে না। চূড়ান্ত নির্মম।
গতকাল তীব্র ভাষায় সুজন বাবু ট্যুইটারে জানান- "সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এরাজ্যের। কমবেশি হাজার তিনেক ট্রেন লাগবে। সরকার তালিকা করেছে ১০৫ টা ট্রেনের, আগামি একমাস ধরে। কি হবে তাতে? এতদিন শ্রমিকগুলো খাবে কি, থাকবে কোথায়, বাঁচবে কিভাবে? তবে তো ফেরার প্রশ্ন! কায়দাবাজি ঢের হল, পরিকল্পনা এবং নির্দেশিকা স্পষ্ট করুন - মাননীয়া।"
গতকাল তীব্র ভাষায় সুজন বাবু ট্যুইটারে জানান- "সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এরাজ্যের। কমবেশি হাজার তিনেক ট্রেন লাগবে। সরকার তালিকা করেছে ১০৫ টা ট্রেনের, আগামি একমাস ধরে। কি হবে তাতে? এতদিন শ্রমিকগুলো খাবে কি, থাকবে কোথায়, বাঁচবে কিভাবে? তবে তো ফেরার প্রশ্ন! কায়দাবাজি ঢের হল, পরিকল্পনা এবং নির্দেশিকা স্পষ্ট করুন - মাননীয়া।"
সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এরাজ্যের। কমবেশি হাজার তিনেক ট্রেন লাগবে। সরকার তালিকা করেছে ১০৫ টা ট্রেনের, আগামি একমাস ধরে। কি হবে তাতে? এতদিন শ্রমিকগুলো খাবে কি, থাকবে কোথায়, বাঁচবে কিভাবে? তবে তো ফেরার প্রশ্ন! কায়দাবাজি ঢের হল, পরিকল্পনা এবং নির্দেশিকা স্পষ্ট করুন - মাননীয়া।— Dr.Sujan Chakraborty (@Sujan_Speak) May 15, 2020
Social Plugin