প্রীতম ভট্টাচার্যঃ

"পথে পথে আজ হাঁকিব বন্ধু,
ঈদ মোবারক! আস্ সালাম!
ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরণী ফুল- কালাম!


পশ্চিম বর্ধমানের, চুরুলিয়ায় ২৫ শে মে ১৮৯৯ এর ১১ জৈষ্ঠ্য কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহন করেন।কৃষ্ণনগরের সাথে কাজী সাহেবের আড়াই বছর এক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।বাংলাদেশের জাতীয় কবি হলেও একসময় তিনি বেশ কিছু কালজয়ী কাব্য রচনা করেন এই কৃষ্ণনগরের মাটিতে।

কাজী তখন অসুস্থ ও দেনায় জর্জরিত, এমন অবস্থায় তার বন্ধু তথা এই কৃষ্ণনগরের বীর সৈনিক বিপ্লবী হেমন্ত কুমার সরকার কাজী কে হুগলী থেকে তাঁর বাড়ি গোয়ারীবাজার সংলগ্ন মদনমোহন কুটীরে নিয়ে আসেন। 

সেখানে কিছুদিন থাকার পর তিনি সুস্থ হলে কৃষ্ণনগরে চাঁদসড়কের গ্রেসকটেজে স্বপরিবার বসবাস করতে থাকেন।এই বাড়িতে তিনি আড়াই বছর ছিলেন। এখানেই তার প্রথম পুত্র বুলবুলের জন্ম হয়। এই বাড়িতে বসে তিনি বহু কালজয়ী উপন্যাস, কবিতা, গান,ও গজল গানের সৃষ্টিকরেন। 


এখানে তিনি রচনা করেন ছাত্রদলের গান,মৃত্যুক্ষুধা আরও অনেক অনবদ্য গান, কবিতা, উপন্যাস।এই গ্রেস কটেজ ভবনটি কৃষ্ণনগরে পাওয়ার হাউজের ভিতরে অবস্থিত।

২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ভবনটিকে হেরিটেজ ভবন ঘোষনা করেন। এটির দায়িত্বে আছে সুজন বাসর নামে এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।এখানে নজরুল গবেষণাগার ও পাঠাগার আছে,বিভিন্ন সময়ে সারাবছর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।এই শহর কাজী সাহেবের মত অনেক বীর সন্তানের কালজয়ী পীঠস্থান।শহরের ইতিহাসে নজরুল আজ এইসময়ে খুব প্রাসঙ্গীক।