![]() |
Image Credit: TribalStuff |
বৃহস্পতিবার যখন ১৮০ জন অভিবাসী শ্রমিক মুম্বাই থেকে বিমানে করে রাঁচি পৌঁছে তাদের অভিব্যক্তিতে জানান- দেশজুড়ে অভিবাসী শ্রমিকরা বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে গিয়ে যেখানে মারা যাচ্ছেন সেখানে বিমানে করে বাড়ি পৌঁছানো স্বপ্নের মতন। এদিনের এই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়ার আনন্দ শুধু অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সমগ্র ঝাড়খন্ড এদিন আনন্দে মেতে উঠে যখন স্বাধীন ভারতে প্রথম কোন আদিবাসী মহিলা উপাচার্যের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।
জেএনইউর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এবং জেএনইউ শিক্ষক ইউনিয়নের পূর্ব অধ্যক্ষ্য সোনা ঝারিয়া মিনজ কে গতকাল ঝাড়খন্ডের সিধো কানু মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলার হিসাবে নিয়োগ করলেন ঝাড়খণ্ডের গভর্নর দ্রৌপদী মুর্মু ।
সোনাঝরিয়া মিনজ দিল্লির জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কম্পিউটার এবং সিস্টেমস সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন।
অধ্যাপক সোনাঝরিয়া মিন্জ দিল্লির জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেন্নাইয়ের তাম্বরামের মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে উচ্চতর পড়াশোনা শেষ করেছেন। তিনি এমএসসি করেছেন মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে।
এমফিল এবং পিএইচডি করেছেন নয়া দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানের উপর।
স্বাধীন ভারতে প্রথম আদিবাসী মহিলা উপাচার্য অধ্যাপক সোনা ঝারিয়া মিনজ। এই প্রথম কোন আদিবাসী মহিলা উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহন করলেন।
মালদা উইমেনস কলেজের বাংলার অধ্যাপক রতন মুর্মু জানান- " মহিলারা কোন সমাজেই পিছিয়ে নেই- এর আগে খেলাধূলার ক্ষেত্রে আদিবাসী মহিলারা বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। শিখা মান্ডি রেডিও জকি হিসাবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে ইতিমধ্যে। বিমান চালাচ্ছে আদিবাসী মহিলা। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে রাজ্য চালাচ্ছেন আদিবাসী মহিলা- দ্রৌপদী মুর্মু । চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে আদিবাসী মহিলারা। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সোনা ঝারিয়া মিনজ এর উপাচার্যের পদ গ্রহন আর একটি সফলতা। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দিত আমরা।"
প্রসঙ্গত অধ্যাপক রতন মুর্মু আরও জানিয়েছেন- "আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে সাঁওতালি ভাষায় নেট কোয়ালিফাইড বেশ কয়েকজন মহিলা রয়েছেন- তারাই আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র আদিবাসী সমাজের তথা আদিবাসী মেয়েদের মাইল ফলক হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করি।"
মালদা উইমেনস কলেজের বাংলার অধ্যাপক রতন মুর্মু জানান- " মহিলারা কোন সমাজেই পিছিয়ে নেই- এর আগে খেলাধূলার ক্ষেত্রে আদিবাসী মহিলারা বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে। শিখা মান্ডি রেডিও জকি হিসাবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে ইতিমধ্যে। বিমান চালাচ্ছে আদিবাসী মহিলা। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে রাজ্য চালাচ্ছেন আদিবাসী মহিলা- দ্রৌপদী মুর্মু । চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এগিয়ে আছে আদিবাসী মহিলারা। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সোনা ঝারিয়া মিনজ এর উপাচার্যের পদ গ্রহন আর একটি সফলতা। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দিত আমরা।"
প্রসঙ্গত অধ্যাপক রতন মুর্মু আরও জানিয়েছেন- "আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে সাঁওতালি ভাষায় নেট কোয়ালিফাইড বেশ কয়েকজন মহিলা রয়েছেন- তারাই আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র আদিবাসী সমাজের তথা আদিবাসী মেয়েদের মাইল ফলক হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করি।"
Social Plugin