ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর তরফে জানানো হয় যে, সতর্কতামূলক চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে তারা এইচসিকিউ-র প্রয়োগকে সুপারিশ করছে। ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দেন। তারপরেই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এর ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার সাথে সাথেই খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। 

কেন্দ্রের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিঠিতে বিশ্ব সংস্থার সিদ্ধান্তের সঙ্গে মতবিরোধ প্রকাশ করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, মনে হচ্ছে এইচসিকিউ-র যাবতীয় নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার বিচার না করেই এর প্রয়োগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরই, কার্যত সুর নরম করে হু জানিয়ে দিল, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন রিভিউ রিপোর্ট পেশ করা হবে।

সূত্রের খবর, ভারতের চিঠি পেয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এইচসিকিউ প্রয়োগ-সম্পর্কিত তথ্য় তলব করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশ করবে। ট্যুইট করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে, সাময়িকভাবে এইচসিকিউ-র ব্যবহার স্থগিত রাখা হয়েছে। বিশেষ কমিটি তথ্য পর্যালোচনা করছে।