উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশন AIDSO এর

বর্তমান কোভিড সঙ্কটে সকল কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষকমহল। অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও তা কতটা ফলপ্রসূ বা প্রত্যেক শিক্ষার্থী এই সুবিধা নিতে পারছে কিনা সে সন্দেহ থেকেই যায়। বিশেষ করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষা বা চাকরী জীবনের জন্য প্রশ্নচিহ্ন টেনে দিয়েছে এই করোনা ভাইরাস। এসব বিবেচনা করেই বুধবার AIDSO এর পক্ষ থেকে  পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা, পড়ুয়াদের প্ৰয়োজনীয় ক্লাস, পরীক্ষা সহ অন্যান্য ফি মকুব করা ইত্যাদি সহ ছয়দফা দাবিতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের নিকট ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো:

১) অর্থনৈতিক কারণে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারেনি অনেকেই। তাই এই অনলাইন ক্লাসের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষা নেওয়া চলবে না। লকডাউন পরবর্তী সময়ে পাঠদানের ঘাটতি পূরণ করে পরীক্ষা নিতে হবে।

২) লকডাউন শিথিল হলে শিক্ষাদিবসের সংখ্যা বাড়িয়ে ছুটির দিনে ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে শিফটিং ক্লাস করিয়ে সিলেবাস শেষ করতে হবে।

৩) চুড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্পেশাল পেপার, প্রজেক্ট, সেমিনার থাকে যা অনলাইনে সম্ভব নয়। তাই তাড়াহুড়ো করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা চলবে না।

৪) শিক্ষা দপ্তর যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে। পুরোনো নিয়মে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ঘোষণাও করেছে। তাই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন ছাত্রসমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। বিশেষ করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন এই পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। ইন্টারনাল এসেসমেন্ট কোনোভাবেই নেওয়া চলবে না।

৫) করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পরীক্ষা ফি সহ সমস্ত ফি মকুব করতে হবে।

৬) এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো একক সিদ্ধান্ত নেওয়া চলবে না। ছাত্র-শিক্ষক সংগঠন, শিক্ষাবিদ, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দের সাথে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।