করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দেশে লক ডাউন জারি হওয়ার পর ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের নানান দুঃখ দুর্দশার ছবি ফুটে উঠেছে। বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রান হারিয়েছে অনেকে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে লকডাউনের জেরে দিল্লিতে আটকে পড়েছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। দিল্লিতে বসেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে নেমেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'বছরে কোটি কোটি টাকা আপনাকে দিচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এখন তারা ঘরে ফিরতে পারবে না। রাজ্যের মানুষের সামনে ভাল থাকতে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করছেন।'

বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, "পরিযায়ী মানুষদের ধীরে ধীরে ট্রেনে ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করেছিলাম, ট্রেনে ওঠার আগে 'কোরোনা নেগেটিভ' সার্টিফিকেট দিতে হবে, নামার পরে আবার পরীক্ষা করে, যেখানে যে যাবে তার ওপর নজরদারি রাখার দাবি করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি ট্রেন নিতে রাজি হলেন না কিন্তু বাস, ট্রাক, গাড়ি আসতে বাধা রইলো না!!!"

তিনি আরও বলেন, "হাজার হাজার বাস, ট্রাক, ছোট গাড়ি বাংলায় প্রবেশ করলো, আপনি তার খেয়াল করলেন না! পরিযায়ীরা আমার রাজ্যের মানুষ, শ্রমিক, ছাত্রছাত্রী, পর্যটক, চিকিৎসা করে ফেরা মানুষ, সবাই এ রাজ্যের মানুষ, তারা কেউ কোরোনা-দৈত্য নয়, পরিযায়ী মানুষ নিয়ে আপনার বিষোদগার দুর্ভাগ্যজনক। Lock Down কেন করতে হয়েছিল? কোরোনা মোকাবিলার জন্য স্থায়ী বা অস্থায়ী চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য, আপনি কিছু করলেন না, আর এখন আপনার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য পরিযায়ী মানুষদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন, এটা একজন মুখ্যমন্ত্রী কে শোভা দেয় না। বাংলায় কবে থেকে কোরোনা সংক্রমণ শুরু হয়? তখন পরিযায়ী শ্রমিক রা কোথায় ছিল?" 

পাশাপাশি, এদিন অধীর চৌধুরী রাজ্যবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, বাংলার আপামর মানুষকে অনুরোধ করবো যে আপনার কোরোনা মোকাবিলা করতে যে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার, দয়া করে তা পালন করুন। বাংলার এক বড় অংশের মানুষ তা মানছেন না, ভুল করে সাবধানতা না মেনে আপনার ও পরিবারের বিপদ ডেকে আনবেন না। কোরোনা কে অবহেলা বড় পাপ ও গুনহা হতে পারে, নিজেকে নিজে রক্ষা করুন