করোনা করাল গ্রাসে ভারত। দিন যতই গড়াচ্ছে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। সংক্রমণ রুখতে আগেই লক ডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ফলে ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে প্রায় দশদিন আগেই এক সাংবাদেক বৈঠক করেছিলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। 

ভারতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে রেপো ও রিভার্স রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই।এক লাখ কুড়ি হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার পাশাপাশি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এলসিআর ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কগুলিকে ডিভিডেন্ড দিতেও বারণ করা হয়েছে।এছাড়া ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ও আবাসন শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেছিলেন, 'ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য আপাপতত ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দেবে আরবিআই। এছাড়া আবাসন শিল্প খাতে দেওযা হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে। আবাসন শিল্পে নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যানশিয়াল কর্পোরেশনের ঋণ দেওয়ার উপর বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে।'

গত সপ্তাহে মার্কিন কোম্পানি ফ্রাঙ্কলিন টেম্পলেটন তাদের ভারতীয় শাখার ছয়টা ঋণ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই ঋণদানকারী সংস্থাগুলি ধসে পড়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়ায়। রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লগ্নিকারীরা। দ্রুত ইউনিট বা হোল্ডিং বিক্রি বাড়তেই নগদ যোগান দিতে হিমশিম লহেয়ে যায় মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থাগুলি। এই সংস্থা গুলিরপাশে দাঁড়াল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

সোমবার মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করলো আরবিআই। সাথে সাথে নাবার্ডের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় এদিন। এদিন মিচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে বিপদ সংকেত দূর করতে এই বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিল আরবিআই। RBI এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু করে  ১১মে পর্যন্ত সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি।  এই সুবিধার মধ্যে ফিক্সড রেপো রেটে ৯০ দিনের জন্য RBI রেপো অপারেশন চালাবে। রিজার্ভ ব্যাংক বাজারের অবস্থার উপর নির্ভর করে সময়রেখা এবং পরিমাণ পর্যালোচনা করবে।

   RBI এর বক্তব্য কেবলমাত্র হাই রিস্ক ডেট মিউচুয়াল ফান্ডগুলিই সঙ্কটে পড়েছে। অন্যান্য মিউচুয়াল ফান্ডগুলির বিশেষ কোনো সমস্যা হয়নি। এই স্কিমের ফলে বাজারে নগদের যোগান বাড়বে। করোনা আবহে আতঙ্কগ্রস্ত লগ্নিকারীদের মধ্যে দ্রুত ঋণপত্র (ডেট ফান্ড) বিক্রির চাপে নগদের যে অভাব দেখা দিয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা যাবে।