![]() |
pic source: nbc news |
মানব শরীরেই তৈরী হয় সব রোগের প্রতিরোধক ক্ষমতা, আর মানব দেহের পাহারাদার শ্বেতরক্ত কণিকাই নেয় এই প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ার কাজ l বাইরে থেকে আসা রোগ জীবাণুর সঙ্গে প্রানপনে যুদ্ধ চালিয়ে যায় শ্বেত রক্ত কণিকা আর এই যুদ্ধেই তৈরী হয় প্রতিষেধক এন্টিবডি l বাইরে থেকে আসা এন্টিজেনকে মেরে ফেলে এই এন্টিবডি l
এর ফলেই তৈরী হয় রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা, এই প্রতিরোধক ক্ষমতা যদি ব্যর্থ হয় তখনই বাইরে থেকে প্রতিরোধক নিতে হয় যা আমরা এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহার করে থাকি l
মনে করুন কোনো ব্যক্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তাহলে ওই ব্যক্তির দেহে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী হয়ে গেছে তার রক্তরসে প্রস্তুত প্রতিষেধক l
ঠিক যেমন সাপের বিষ থেকে বাঁচতে এন্টিভেনাম প্রয়োগ হয় l এই এন্টিভেনাম তৈরী হয় কোনো পশুর দেহে l সাধারণত ঘোড়ার দেহে সাপের বিষ প্রয়োগ করা হয় l ঘোড়ার শ্বেতরক্তকণিকা সাপের বিষের এন্টিজেনকে হারিয়ে রক্তরসে তৈরী করে ফেলে এন্টিবডি l সেই রক্তরস সংগ্রহ করে কয়েক ধাপে পরিশ্রুত করে তৈরী হয় এন্টিভেনাম যা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় l করোনার চিকিৎসায় এবার এই পদ্ধতি বেছে নিতে চলেছে বিজ্ঞানীরা, যা প্লাজমা থেরাপি নামে পরিচিত l কী এই প্লাজমা থেরাপি?
করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির প্লাজমা বা রক্তরসেই রয়েছে এই ভাইরাস রোধক ক্ষমতা, এমনই দাবী চিকিৎসক মহলের l এই প্লাজমাকে বলে Convalescent Plasma, এই প্লাজমা আক্রান্তের দেহে প্রয়োগ করে করোনার সঙ্গে লড়াই এর ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে ও সম্পূর্ণ সেরে উঠতে পারে আক্রান্ত l
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই প্লাজমা থেরাপিতে সবুজ সংকেত দিয়েছে ইতি মধ্যে l এই নিয়ে গবেষণা চলছে জোড় কদমে l ইতি মধ্যে কেরল সরকার এই প্লাজমা থেরাপি তাঁদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে চলেছে, শুধু মাত্র ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদনের অপেক্ষা l
আই সি এম আর তরফে জানানো হয়েছে, এটি পরীক্ষা স্তরে আছে দ্রুত পর্যায়ে কাজ চলছে ক্রিনিক্যাল ট্রায়ালের পর মানব শরীরে প্রয়োগ করার অনুমোদন দেওয়া হবেl তবে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র এটিকে মানবদেহে প্রয়োগের সম্মতি জানিয়েছেন তা আগামীদিনে তাঁদের দেশে প্রয়োগ হতে চলেছে l
Social Plugin