![]() |
picture credit: anandabazar |
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা সফরের পর রাজ্যের কাছে কোভিড – ১৯ মহামারীর সংক্রমণ রোধে গৃহীত কিছু ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল । দলটি বর্তমানে কলকাতায় রয়েছে এবং এর নেতৃত্বে রয়েছেন, কেন্দ্রের একজন অতিরিক্ত সচিব, শ্রী অপূর্ব চন্দ্র। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় ঘুরে তাঁদের অভিজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি লকডাউন আরও কড়াভাবে কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
মুখ্যসচিবকে লেখা দুটি চিঠিতে তিনি বলেছেন,-
1. আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল বা ইন্টার মিনিস্টেরিয়াল সেন্ট্রাল টিম (আইএমসিটি)-এর, কলকাতার সিএনসিআই এবং বাঙ্গুর হাসপাতালে ২৩ তারিখে গিয়ে বেশ কিছু অব্যবস্থা নজরে এসেছে।
2. সিএনসিআই – তে অনেক রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল বেশ কয়েকদিন ধরে জানা যায় নি। এদের মধ্যে ৪ জন ১৬ই এপ্রিল থেকে তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্টের জানার জন্য অপেক্ষা করছেন।
3. বাঙ্গুর হাসপাতালে যেখানে রোগীরা চিকিত্সা পরিষেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন, সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে না। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বাঙ্গুর হাসপাতালে তাদের পাঠানো হলেও তাঁরা তাদের রিপোর্ট নিয়ে যখন চলে যাচ্ছেন, তখন কোনো নজরদারীর ব্যবস্থা থাকছে না।
4. কোভিড সংক্রমিতদের চিকিৎসা করার সময় কারোর মৃত্যু হলে রাজ্য সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী সেই স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। কেন্দ্রেরও এরকম একটি প্রকল্প আছে, যেখানে মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবার ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। আইএমসিটি-কে জানান হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের ইচ্ছে অনুসারে কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারে যে কোনো একটি প্রকল্প বেছে নিতে পারেন। কেন্দ্রীয় দলটি, রাজ্য সরকারের এসংক্রান্ত নির্দেশাবলী দেখতে চেয়েছেন।
5. পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর ঘোষণাটি রাজ্যস্তরে গঠিত চিকিৎসকদের একটি কমিটি করে থাকেন। আইএমসিটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক আলোচনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব ২৩ তারিখে এই কমিটি গঠনের যৌক্তিকতা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, কোনো কোভিড সংক্রমিত রোগী, যদি পথ দুর্ঘটনায় মারা যান, তাহলে তাঁর মৃত্যুর কারণ কখনই কোভিড সংক্রমণ হতে পারে না। কেন্দ্রীয় দলের কাছে, এই যুক্তি খুব একটা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় নি। তাঁরা এর জন্য কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুর ঘোষণার দায়িত্ব যে কমিটির ওপর দেওয়া হয়েছে, সেই কমিটি গঠনের সরকারী নির্দেশিকাটি চেয়ে পাঠিয়েছেন।
একই সঙ্গে যেসব কোভিড সংক্রমিত রোগীদের মৃত্যুর কারণ অন্য কিছু বলে কমিটি জানিয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও কেন্দ্রীয় দল চেয়ে পাঠিয়েছে। এই কমিটি কত দিনে এসংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, অন্য অসুখের ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গে এধরণের কমিটি রয়েছে কি না এবং আইসিএমআর-এর নীতি – নির্দেশিকা অথবা অন্য কোন চিকিৎসা সংক্রান্ত নীতি – নির্দেশিকা মেনে এই ধরণের কমিটিগুলি কাজ করে, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি আইএমসিটি-র সদস্যরা ঐ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন।
credit: pib kolkata
Social Plugin